কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় রফিক আহমদ ওরফে মামুন (৩৮) নামে এক যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (৬ মে) গভীর রাতে উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়নের মারাক্কাঘোনা এলাকায় সড়কের পাশে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা।
নিহত মামুন কালামারছড়া ইউনিয়নের ছামিরাঘোনা গ্রামের মৃত মনসুর আলমের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল ‘তারেক বাহিনীর’ সন্ত্রাসীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের আঁধারে অজ্ঞাত একটি জায়গায় মামুনকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে এনে সড়কের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মামুনের বুকে তিনটি গুলির চিহ্ন ছিল, যার একটি শরীর ভেদ করে বেরিয়ে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বদরখালী ও চকরিয়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আনোয়ারা উপজেলায় তার মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আলম আশেক জানান, “গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কায়সার হামিদ বলেন, “রাতেই পুলিশ তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছিল। ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি।”
নিহতের পরিবার দাবি করেছে, রাজনৈতিক প্রতিশোধ হিসেবেই মামুনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আরও হামলার আশঙ্কায় অনেক পরিবার আতঙ্কে বাড়ি ছাড়ছেন।