ঢাকাসোমবার, ৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাংবাদিকদের প্রশ্ন করা যাবে না, আমি এটা চাই না : মাহফুজ আলম

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মে ৪, ২০২৫ ১১:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদমাধ্যমের জবাবদিহি থাকার পাশাপাশি সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ থাকার কথা বলেছেন তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে সরকার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কার্যালয়ে ‘সাহসী নতুন বাংলাদেশ : গণমাধ্যমের স্বাধীনতার রোডম্যাপ সংস্কার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে মাহফুজ বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ক্ষোভ আছে। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। গত ১৫ বছর যে ক্ষোভ আছে, সেটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে সেটা আমরা এবং পুরো বাংলাদেশের পলিটিক্যাল সিস্টেম ঠিক করতে ব্যর্থ হয়েছি। যার বিরুদ্ধে সঠিক অভিযোগ আছে, সেই অভিযোগে মামলা হয়নি। হয়েছে হত্যা মামলা। এটা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছি। আমরাও বলার চেষ্টা করছি। মামলা হওয়া ও লিগ্যাল প্রসিডিং চলা দুটো ভিন্ন বিষয়। মামলা যে কেউ করতে পারে। সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকার অন্যায়ভাবে কাউকে গ্রেফতার করছে কিনা, সেখানে কোনো সীমাবদ্ধতা আছে কিনা সেটা নিয়ে আলাপ আলোচনা করা যায়।

মামলা বাণিজ্যকে পুরাতন সংস্কৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন ক্ষমতার ভরকেন্দ্র অনেকগুলো। অনেক ধরনের রাজনৈতিক দল এখানে ক্ষমতার ভরকেন্দ্রে আছে। শুধু একমাত্র সরকারে নেই। সব ধরনের ভরকেন্দ্র সামলে সরকার চালাতে হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মামলা দেয়। স্থানীয়ভাবে মামলা বাণিজ্য বাংলাদেশে নতুন কোনো সংস্কৃতি না। এটা বন্ধ করতে হলে সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সেটা না হলে ৬০-৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হবে। অজানা লোকের বিরুদ্ধে মামলা হবে। গায়েবি মামলা হয়ে ধরপাকড় চলতে থাকবে। কেবল সাংবাদিক নয়, আমি-আপনি এর শিকার হতে পারি।

সরকার লিখতে বাধা দিচ্ছে না জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, মানুষ সব কিছু লিখতে পারছে। সম্প্রতি নেত্র নিউজে সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের মেয়ে একটি লেখা লিখেছেন। যেখানে সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রীকে নির্দোষ দাবি করা হয়েছে। সত্য হচ্ছে আসাদুজ্জামান চার জন মানুষ হত্যা ও গুমের সঙ্গে জড়িত। নেত্র নিউজে লেখা ছাপাতে কোনো বাধা দেয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্যদের প্রশ্ন করা যাবে, বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করা যাবে, গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রশ্ন করা যাবে; কিন্তু সাংবাদিকদের প্রশ্ন করা যাবে না, আমি এটা চাই না, এই জিনিসটা থাকুক। রাজনীতিকরণ করার কারণে গণমাধ্যমগুলোর সাংবাদিকরাই বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

স্বৈরাচার সরকারের সময়ের গণমাধ্যমগুলোর কার্যকলাপ নিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দরকার উল্লেখ করে উপদেষ্টা জানান, গণমাধ্যমগুলোর বিগত ১৫ বছরের কার্যকলাপ নিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দরকার। রাজনীতিকরণ করার কারণে হাউসগুলোর সাংবাদিকরাই বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

মাহফুজ বলেন, বাংলাদেশের মিডিয়ায় জবাবদিহিতার প্রয়োজন আছে। সাংবাদিকতার জন্য করা সুরক্ষা আইন প্রণয়ণের কাজ চলছে। বেতার, বিটিভি ও বাসস নিয়ে জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা করার পক্ষে আমি, সরকারি বিজ্ঞাপন মূল্য নির্ধারণের পক্ষে আমি। ডিএফপির সঙ্গে টাস্কফোর্স গঠন করেছি পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মূল্য ও লাইসেন্স পুনর্নির্ধারণ করার জন্য। অধিকাংশ হাউসের এই পলিসি নেই যে রাষ্ট্রকে ট্যাক্স দেবে।