‘ম্যাস গেদারিং ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচির পরদিন ছাত্রসেনার সাবেক নেতা মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছে সুন্নিপন্থী রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। সোমবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে দুই ঐতিহ্যবাহী দল—বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ—‘ঐক্যের ঘোষণা’ দিয়ে জানান দিয়েছে, এখন থেকে তাদের পরিচিতি একটাই: ‘ফ্রন্ট, সেনা, আহলে সুন্নাত’।
চট্টগ্রাম প্লেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, “আজ থেকে পৃথক দুটি ফ্রন্ট বলে কিছু থাকবে না। আমাদের পরিচয় হবে একটাই। সুন্নিয়তের ঐক্য আজ দৃঢ় হয়েছে। রইস উদ্দিনের শাহাদাত সেই ঐক্যের অনুঘটক।”
২৬ এপ্রিল ঢাকায় ‘ম্যাস গেদারিং ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচিতে বিপুল জনসমাগমের নেতৃত্ব দেন মাওলানা রইস উদ্দিন। এর পরদিন গাজীপুরে তাকে ‘বলাৎকারের মিথ্যা অপবাদে’ জনতার হাতে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়, যেখানে রাতেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত রইস উদ্দিন চাঁদপুরের মতলব থানার বাসিন্দা এবং গাজীপুরের হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত নেতারা জানান এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত, সুন্নিপন্থীদের দমন করতেই রইস উদ্দিনকে ‘টার্গেট’ করা হয়েছে। এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা বিবেচনায় রেখে দেশব্যাপী কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা জয়নুল আবেদীন জুবায়ের বলেন, “আমরা বহু বছর ধরে ঐক্য চাইছিলাম। এখন সেই ঐক্য বাস্তব রূপ নিচ্ছে। সব আন্দোলন ও কর্মসূচিতে আমরা একসাথে থাকব।”
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম.এ মতিন বলেন, “আমাদের আর আলাদা কোনো পরিচয় নেই। আমরা এখন এক ও অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করছি।”
রইস উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বক্তারা দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান, অন্যথায় ‘সারাদেশ অচল’ করার হুঁশিয়ারি দেন।