জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি অবৈধ কোনো অর্থ স্পর্শ করেননি এবং কোনো অনৈতিক সুপারিশকেও প্রশ্রয় দেননি। এই অঙ্গীকারকে তিনি অভ্যুত্থানের “রক্তের কমিটমেন্ট” ও নিজের প্রতি নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বলে উল্লেখ করেছেন।
রোববার (২৭ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে সারজিস আলম এসব কথা জানান। সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ ও অপপ্রচারের বিষয়ে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
সারজিস আলম লিখেছেন,”অল্প সময়েই এত প্রতিপক্ষ তৈরি হয়েছে যে, এ ধরনের অপপ্রচার এখন স্বাভাবিক। তবু সত্য যাচাই না করে কারও মন্তব্য বা অভিযোগকে বিশ্বাস করা অনুচিত।”
তিনি দাবি করেন, গাজী সালাহউদ্দিন তানভীরের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন। সারজিস বলেন, তানভীর তার আত্মীয় নন এবং পার্টির গঠনের সময় অন্যান্যদের মতো প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই দলে যুক্ত হয়েছেন।
এনসিপি নেতা আরও উল্লেখ করেন, কোনো ব্যক্তি দলের পরিচয় ব্যবহার করে অনৈতিক কাজ করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কাউকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানোর বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নেবেন বলে সতর্ক করেন তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ এনে সারজিস বলেন,”আমাকে নিয়ে রাশেদ খান যে অভিযোগ করেছেন তা যদি তিনি প্রমাণ করতে পারেন, তবে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব; আর প্রমাণ করতে না পারলে তিনি রাজনীতি ছাড়বেন।”
পিনাকী ভট্টাচার্যের প্রতি সম্মান জানালেও, অনুমাননির্ভর মন্তব্যের কারণে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নিজের অতীত ছাত্র রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে সারজিস আলম বলেন,”ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে শাসক রেজিমের মুখোমুখি হয়ে সংগ্রাম করা সহজ ছিল না। বিবেক আর ব্যক্তিত্বের শক্তিতেই সেই পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি।”
পোস্টের শেষাংশে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন,”৫ আগস্টের পর থেকে আজ পর্যন্ত অবৈধ এক টাকাও স্পর্শ করিনি, কোনো অনৈতিক সুপারিশকেও প্রশ্রয় দিইনি। এটা আমার নিজের সঙ্গে নিজের কমিটমেন্ট।”