চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ মাঠের দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ চারজনসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন মোহাম্মদ ফোরকান, মোহাম্মদ মাহিম উদ্দিন, আজিজুর রহমান ও নুর হোসেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আহত আরও অন্তত ৬ জন বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সকল আহতের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সরল ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্য মনসুর আহমদ এবং আবুল হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জমিতে লবণ মাঠের মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার ওই বিরোধ চরমে পৌঁছায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আহমদের ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন নতুন বাজার এলাকায় পৌঁছালে আমানুল্লাহ ও কবির আহমদের অনুসারীরা তাকে আটক করেন। এরপর দেলোয়ার হোসেনের সমর্থকরা তাকে উদ্ধারে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই ব্যাপক মারামারি ও গুলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এ সময় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
গুলিবিদ্ধ মাহিম উদ্দিন বলেন, “আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেলোয়ারকে আটক করে রাখে। আমরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।”
অন্যদিকে, হামলার বিষয়ে একপক্ষের কবির আহমদ বলেন, “সরকারিভাবে লবণ মাঠ লিজ নিয়েছি আমরা। আমাদের ওপরই আগে হামলা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নিতে বাধা দেওয়া হয়।”
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, “সরকারি জায়গায় লবণ চাষের অধিকার নিয়ে মনসুর আহমদ ও আবুল হোসেনের মধ্যে পুরনো বিরোধ ছিল। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”