ঢাকাসোমবার, ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চট্টগ্রামে প্রেমিকযুগলকে ‘জিম্মি’ করে পুলিশের অর্থ আদায়ের অভিযোগ !

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
এপ্রিল ২১, ২০২৫ ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা গোলচত্বর এলাকায় প্রেমিকযুগলকে আটকে রেখে জোরপূর্বক অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের একটি মোবাইল টিমের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে। অভিযুক্তরা পাহাড়তলী থানা পুলিশের মোবাইল টিমের সদস্য বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী এক যুবকের ভাষ্য, তিনি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বান্ধবীকে নিয়ে বের হলে সাগরিকা আন্ডারপাস এলাকায় পুলিশের একটি দল তাদের গাড়ি থামায়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের নামে একের পর এক ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা হয়। জানানো হয়, তাদের পরিবারকে খবর দিয়ে থানায় নেওয়া হবে।

যুবক জানান, সম্পর্কের কথা বলার পর পুলিশ সদস্যরা কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলেন এবং ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। পরে তিনি ৫ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছাড়া পান।

প্রতিবেদনে জানা যায়, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ভুক্তভোগীর এলাকার এক পরিচিত ব্যক্তিও ছিলেন। তাকে সব খুলে বলার পরও কোনো সহায়তা মেলেনি। বরং তিনিও অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলেন এবং টাকা আদায়ে ভূমিকা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত ছিলেন পাহাড়তলী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কমল কিরণ। তার নেতৃত্বাধীন টিমের সদস্য ছিলেন কনস্টেবল জাহেদ, যিনি ভুক্তভোগীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। তবে টাকা গ্রহণ করেন টিমের অন্য এক সদস্য।

প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে এএসআই কমল কিরণ বলেন, “যিনি টাকা দিয়েছেন, তার নিশ্চয়ই কোনো দোষ ছিল। তাই দিয়েছেন।”

অন্যদিকে কনস্টেবল জাহেদ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “ভুল হয়েছে। প্রয়োজন হলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে।”

ঘটনার পরে ভুক্তভোগীর পরিবারকে একাধিকবার ফোন করে তাদের অবস্থান জানার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আজাদ বলেন, “ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আমি এখনই বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।”

এ ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রশ্ন উঠেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাঠপর্যায়ের কিছু সদস্যের আচরণ ও কর্তৃত্বের অপব্যবহার নিয়ে।