ঢাকারবিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী অপহরণ

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
এপ্রিল ১৬, ২০২৫ ৭:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব শেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে পাঁচ শিক্ষার্থী অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোরে সদর উপজেলার গিরিফুল এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। বিষয়টি পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন—রিশান চাকমা (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ), মৈত্রীময় চাকমা (চারুকলা বিভাগ), দিব্যি চাকমা (নাট্যকলা বিভাগ), লংঙি ম্রো (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ) এবং অলড্রিন ত্রিপুরা (চারুকলা বিভাগ)। তারা সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে রিশান চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চবি শাখার সদস্য। এছাড়া তাদের সঙ্গে থাকা টমটম চালককেও অপহরণ করা হয়েছে, তবে তার নাম জানা যায়নি।

ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, বিজু উৎসব শেষে শিক্ষার্থীরা খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন। কিন্তু বাসের টিকিট না পেয়ে তারা সদর উপজেলার কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত যাপন করেন। ভোরে গিরিফুল এলাকায় পৌঁছালে একদল লোক জোরপূর্বক তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এই অপহরণের জন্য ইউপিডিএফ (প্রসীত গ্রুপ)-কে দায়ী করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি অনুযায়ী ইউপিডিএফ-ই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এই ঘটনায় আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের বিরুদ্ধে এবং কোনো মহল ষড়যন্ত্র করে আমাদের ওপর দোষ চাপাতে চাইছে।”

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, “আমরা বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি। একটি আঞ্চলিক সংগঠন জড়িত থাকতে পারে। মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহৃতদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।”

এ ঘটনায় পাহাড়ি সমাজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে, এবং শিক্ষার্থী ও মানবাধিকারকর্মীরা দ্রুত অপহৃতদের নিরাপদে উদ্ধার করার দাবি জানিয়েছেন।