ঢাকামঙ্গলবার, ১৫ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
এপ্রিল ১৫, ২০২৫ ৬:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুই পৃথক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতির অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ২৯ এপ্রিল এই বিষয়ে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনা নিজের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জমি বরাদ্দ নেন, যেখানে তাদের ঢাকায় বিদ্যমান আবাসন সুবিধা থাকার তথ্য গোপন করা হয়। এতে সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘনের পাশাপাশি ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার দপ্তর এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও রাজউককে প্রভাবিত করে অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দ আদায় করেন।

আসামিদের তালিকায় কারা আছেন?

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্তদের মধ্যে আছেন—

শেখ হাসিনা (সাবেক প্রধানমন্ত্রী)

সজীব ওয়াজেদ জয় (প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা)

মো. সাইফুল ইসলাম সরকার (প্রশাসনিক কর্মকর্তা, গৃহায়ন মন্ত্রণালয়)

পূরবী গোলদার (সিনিয়র সহকারী সচিব)

কাজী ওয়াছি উদ্দিন (অতিরিক্ত সচিব)

মো. শহীদ উল্লা খন্দকার (সচিব)

মো. আনিছুর রহমান মিঞা (সাবেক চেয়ারম্যান, রাজউক)

খুরশীদ আলম, নাসির উদ্দীন, তন্ময় দাস (সাবেক সদস্য, রাজউক)

সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত মেজর)

মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন (প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব)

শরীফ আহমেদ (সাবেক গৃহায়ন প্রতিমন্ত্রী)

আরও ১৫ জন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটি দুদকের করা ষষ্ঠ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি দিল্লিতে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়।

দুদক জানায়, ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি পৃথকভাবে আটটি মামলা দায়ের করা হয় এবং তদন্ত শেষে মোট ৮টি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।