চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীর ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। ফটক তালাবদ্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়গামী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সুলতানুল আরেফিন চবির রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সদস্য সচিব। সুলতানুল জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে রেলক্রসিং এলাকায় এক সিএনজি চালক তাঁর পায়ে গাড়ি তুলে দেন। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি মিটে গেলেও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো দেখে কিছু স্থানীয় লোক তাঁকে মারধর করে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো সহায়তা পাননি। উপ-উপাচার্য প্রশাসন সকাল ৮টায় আসবেন বললেও তিনি উপস্থিত হননি।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী মো. আব্দুর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। সিএনজি চালকদের দৌরাত্ম্য নতুন কিছু নয়, কিন্তু কোনও সমাধানও মিলছে না।”
চবি সিএনজি স্টেশনের লাইন সেক্রেটারি মো. সেকান্দার জানান, অভিযুক্ত চালক সমিতির সদস্য নন, বহিরাগত।
চবির সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন বলেন,“এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে ফটক বন্ধ রাখলে সেটি সবার মধ্যে নেতিবাচক বার্তা দেয়।”