ঢাকামঙ্গলবার, ১৫ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক আমাদের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
এপ্রিল ১৪, ২০২৫ ১২:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার একটি ঐতিহাসিক সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ যেন আমরা না হারাই।”

তিনি বলেন, “নববর্ষ হোক আমাদের নতুন শপথের দিন—আমরা বৈষম্যহীন, শান্তিপূর্ণ, মানবিক ও সংস্কৃতিময় একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ব।”

নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তায় ইউনূস সবাইকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “পহেলা বৈশাখ সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। বিগত বছরগুলোর গ্লানি, দুঃখ, বেদনা ভুলে আমরা যেন নতুন প্রত্যয়ে এগিয়ে যাই। এবার আমাদের নববর্ষ, নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ।”

বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে আমাদের শুধু নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা করতে হবে। নববর্ষের এই দিনটি আমাদের সুযোগ দেয় সেই ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্ম ও সারা বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করার।”

‘ফসলি সন’ ও ‘হালখাতা’র প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলা সনের সূচনা কৃষিকাজের প্রয়োজনে ‘ফসলি সন’ হিসেবে হয়েছিল। আজও দেশের কৃষকরা বাংলা তারিখ ধরে চাষাবাদ করেন। হালখাতা এখনও বাংলার ব্যবসা-বাণিজ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে রয়ে গেছে।”

তিনি বলেন, “বৈশাখী মেলায় দেশজ জিনিসপত্র যেমন শীতল পাটি, মাটির পাত্র, খেলনা, হাতপাখা ইত্যাদি তৈরি করে উদ্যোক্তারা তাঁদের সৃজনশীলতা তুলে ধরেন। নববর্ষ আজ সৃজনশীল উদ্যোক্তা এবং সংস্কৃতি চর্চার মিলনমেলা।”

পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপনকে স্বাগত জানিয়ে ইউনূস বলেন, “চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষকে এবার বিভিন্ন সম্প্রদায় বড় পরিসরে উদযাপন করছে, যা আমাদের জাতীয় ঐক্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতীক।”

শেষে তিনি দেশবাসীর জন্য নববর্ষের শুভ কামনা জানিয়ে বলেন, “নববর্ষ ১৪৩২ আমাদের সবার জীবনে আনন্দ, শান্তি ও নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করুক। নববর্ষের সব আয়োজন ও উদ্যোগ সফল হোক—এই প্রার্থনা করছি।”