ঢাকামঙ্গলবার, ১৫ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চবি চারুকলায় পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতি

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
এপ্রিল ১৪, ২০২৫ ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

পহেলা বৈশাখ ঘিরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটেও চলছে বর্ণিল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি। তবে আয়োজনের নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থাকবে কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। ঢাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয় চট্টগ্রামেও।

চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক কাজল দেবনাথ বলেন, “আমি কিছুই জানি না শোভাযাত্রা নিয়ে। ছাত্ররা যেটা করে সেটাই।” অর্থাৎ, নাম ঠিক করার দায়িত্ব ছাত্রদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের বাদশা মিয়া সড়কে চারুকলা ইনস্টিটিউটের প্রাঙ্গণে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষার্থীরা। তৈরি করছেন নানা রঙে আঁকা মুখোশ ও প্রতিকৃতি—মাছ, ঘোড়া, মোরগসহ বৈশাখী অনুষঙ্গের চিত্র। পহেলা বৈশাখ সকালে এই শোভাযাত্রায় এসব ব্যবহার করা হবে।

সকাল ৯টায় চারুকলার মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার ইনস্টিটিউটে শেষ হবে। এরপর সন্ধ্যায় মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা পারফর্ম করবেন।

নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শোভাযাত্রার বার্তা—সাম্য, শান্তি ও সংস্কৃতির উদযাপন। নাম বদল হোক বা না হোক, মূল চেতনা অটুট থাকবে।”

তবে চারুকলার এক শিক্ষক জানান, “আসলে নতুন প্রশাসনের অধীনে এই প্রথমবার শোভাযাত্রা হচ্ছে। ফলে এখনো কিছু পরিষ্কার নয়। ব্যানার থাকবে কি না, সেটাও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। তবে কিছু না হলেও শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো করে ছোট পরিসরে মুখোশ ও প্রতিকৃতি নিয়ে বের হবে।”

উল্লেখ্য, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম নিয়ে প্রতিবছরই বিতর্ক দেখা দেয়। এবারও ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি সংগঠনের আপত্তির মুখে ১১ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদ আনুষ্ঠানিকভাবে নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। অনুষদের ডিন জানান, এখন থেকে এ আয়োজন হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে।

এর আগে ২৩ মার্চ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও নাম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওপর ছেড়ে দেন তিনি।