বাংলাদেশে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের নতুন অধ্যায়ে যুক্ত হয়েছেন ড. ইমাদুর রহমান। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন লিমিটেড (BSCL)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ দিয়েছেন। এর আগে তিনি সুইডেনভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এরিকসন-এ গবেষণা ও উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
একাধারে প্রযুক্তিবিদ, গবেষক ও সমাজসেবক, ড. রহমানের কর্মজীবন বিস্ময়কর। তিনি এরিকসনে কাজ করার সময় ৬০০টিরও বেশি পেটেন্ট দাখিল করেছেন, যার মধ্যে ৩০০টির বেশি যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদিত। তার গবেষণার মূল ক্ষেত্র ছিল ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন — আধুনিক প্রযুক্তির সবচেয়ে জটিল ও উদ্ভাবনময় শাখাগুলোর একটি।
তার গবেষণা-প্রবন্ধ ও জার্নাল ২,০০০-এরও বেশি বার Google Scholar-এ উদ্ধৃত হয়েছে, যা তার একাডেমিক প্রভাবের একটি বড় প্রমাণ।
ড. রহমান শুধুই একজন প্রযুক্তিবিদ নন, তিনি সুইডেনে Muslim Aid-এর সুইডেন শাখার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতি বছর রমজানে ও বিভিন্ন সময় তিনি বাংলাদেশে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্টকহোমে তাকে ইসলামী সমাজকল্যাণের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে সমাদৃত করা হয়।
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটি “নতুন বাংলাদেশ” গড়ার স্বপ্নে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নিজ দেশে ফিরে এসেছেন। এই প্রত্যাবর্তনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল — নিজের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে জাতীয় উন্নয়নে কাজে লাগানো।
BSCL-এ দায়িত্ব গ্রহণের পর তার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য হলো — বাংলাদেশে Starlink স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা। এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছানো সম্ভব হবে, যা ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাসে ভূমিকা রাখবে।
ড. ইমাদুর রহমানের মতো ব্যক্তিত্বদের রাষ্ট্রীয় অগ্রযাত্রায় যুক্ত হওয়া কেবল অনুপ্রেরণার উৎস নয়, বরং দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি সুসংবাদ। তার কাজ, দৃষ্টিভঙ্গি ও নেতৃত্ব একটি উদ্ভাবনী, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অগ্রসর বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।