ঢাকাসোমবার, ৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের থেকে পৌরকর বাবদ ১০০ কোটি টাকা পাচ্ছে চসিক

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
এপ্রিল ৭, ২০২৫ ১:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পৌরকর বাবদ ১০০ কোটি টাকা পাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। রোববার (৬ এপ্রিল) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের চবক শাখার উপসচিব নজরুল ইসলাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব অনুযায়ী ও জয়েন্ট সার্ভে কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আপাতত ১০০ কোটি টাকা চসিককে প্রদান করা যেতে পারে। ১১৫ কোটি টাকা চাহিদার বিপরীতে এই অর্থ পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

চসিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের পর বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবিত কর নির্ধারিত হয়েছিল ১৬০ কোটি ১৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা। যদিও তখন তা স্থগিত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, যা ২০২০ সালে পুনরায় চালু হয়। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানালে বিষয়টি অনিশ্চয়তায় পড়ে।

পরে ২০২১ সালের জুলাইয়ে চসিক ও বন্দরের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে কর নির্ধারণ করা হয় ৫০ কোটি টাকা, যার মধ্যে পরিশোধ করা হয় সাড়ে ৪০ কোটি টাকা। এরপর ডা. শাহাদাত হোসেন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর নগর উন্নয়ন কার্যক্রমে গতি বাড়াতে চলতি অর্থবছর (২০২৪-২০২৫) থেকে ১৬০ কোটি ১৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা পৌরকর আদায়ের সিদ্ধান্ত নেন। যা গত বছরের (২০২৪) ১৫ ডিসেম্বর চবক চেয়ারম্যানকে দাপ্তরিক পত্র দিয়ে জানিয়ে দেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। এতে চলতি অর্থবছরে বন্দরের পরিশোধিত অংক বাদ দিয়ে বাকি ১১৫ কোটি ১৬ লাখ টাকাও পরিশোধ করতে বলা হয়। কিন্তু ওই চিঠি দেয়ার পরও চবক বকেয়া পরিশোধ না করায় চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হয় চসিক। ওইদিন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় চসিক প্রধান নির্বাহীর। এছাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে নৌপরিবহন সচিবকেও দাপ্তরিরক পত্র দেয় চসিক। এতে চসিকের প্রস্তাবিত পৌরকর পরিশোধে চবককে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করতে বলা হয়।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সার্ভিস চার্জ হিসেবে বন্দরের কাছে তাদের আয়ের ১ শতাংশ অর্থ চেয়েছিলাম। এটা তাদের আইনের কারণে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই ১৬০ কোটি টাকার যে পৌরকর আমরা পাব সেটাই চেয়েছি। কিন্ত এতে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকায় বন্দর এ পৌরকর আমাদের দিতে পারেনি। যা গতকাল মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়।

মেয়র আরো বলেন, নগরীর সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সেবার পরিধি সম্প্রসারণে যে আর্থিক সক্ষমতা প্রয়োজন সেক্ষেত্রে যথেষ্ট অপ্রতুলতা রয়েছে চসিকের। তাই বন্দর থেকে ন্যায্য পৌরকর পেলে নগরীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা সহজ হবে।