চার দিনের চীন সফর শেষে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে বেইজিং থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের আমন্ত্রণে এ সফরে যান তিনি, যেখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সফর চলাকালে গত শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে দুই দেশের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। এ সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। স্বাক্ষরিত চুক্তির মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগ আলোচনা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ, রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান। এছাড়া, দুই দেশের সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ, গণমাধ্যম, ক্রীড়া, স্বাস্থ্য এবং সাংস্কৃতিক খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ সফরে প্রধান উপদেষ্টা চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নেন এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “নতুন বাংলাদেশের দায়িত্ব পেয়েছি, যেখানে দারিদ্র্য দূর করাই আমার প্রধান অগ্রাধিকার। তবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে অসংখ্য বাধা রয়েছে, যা কাটিয়ে উঠতে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য।”
প্রধান উপদেষ্টার এ সফরে তার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রেস সচিব শফিকুল আলম। চীন সফর শেষে শনিবার রাতে তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।