ঢাকামঙ্গলবার, ১লা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কাট্টলীতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি, দিনব্যাপী কর্মসূচি পালিত

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মার্চ ২৬, ২০২৫ ৩:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের কাট্টলীতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ মার্চ) সূর্যোদয়ের পর ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সকল সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিবসের প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানান।

পরে বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, রেঞ্জ ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সিটি মেয়র বলেন, “১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের সকল শহীদ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে সকল শ্রেণির নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ১৯৭১ ও ২০২৪ নিয়ে কোনও বিতর্ক সৃষ্টি করা উচিত হবে না; একটিকে দিয়ে অন্যটি ঢেকে রাখা সম্ভব নয়।”

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, “১৯৭১ ও ২০২৪ একই সূত্রে গাঁথা। একাত্তরে লাখো মানুষ জীবন দিয়েছে অধিকার আদায়ের জন্য, ২০২৪ সালেও ছাত্র-জনতা তাদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় জীবন দিয়েছে। আমরা একাত্তরের চেতনা ধারণ করেই ২০২৪-এর নেতৃত্ব দেবো।”

বীর মুক্তিযোদ্ধারা এদিন অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “স্বাধীনতা দিবস আমাদের জন্য ঈদের মতো আনন্দের। তবে আমাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে আরও বেশি খুশি হতাম। মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করলেও রাজনৈতিক নেতাদের কিছু ব্যর্থতার কারণে আমরা এখনো সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি।”

এদিকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই শহীদ মিনারে ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, চিত্র প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজন।

সকালে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আয়োজিত কুচকাওয়াজে শিক্ষার্থী, পুলিশ, কারারক্ষী, ফায়ার সার্ভিস, আনসার-ভিডিপি ও বিএনসিসির সদস্যরা অংশ নেন। দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।