ঢাকাশনিবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মশা মারতে বিটিআই লার্ভিসাইড উদ্বোধন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাতের

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মার্চ ২৬, ২০২৫ ৮:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মশা নিয়ন্ত্রণের নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ১৭ নম্বর (বাকলিয়া) ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ সড়কের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই (Bacillus thuringiensis israelensis) লার্ভিসাইড প্রয়োগ করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মা, কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে মেয়র বলেন, “মশা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কীটনাশকের কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করছি। বিটিআই লার্ভিসাইড যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোতে ব্যবহৃত একটি কার্যকর পদ্ধতি, যা মশার লার্ভা ধ্বংসে সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়। ঢাকায় পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর এবার চট্টগ্রামে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “বিটিআই শুধুমাত্র মশার লার্ভা ধ্বংস করে, অন্য জলজ প্রাণীদের কোনো ক্ষতি করে না। ফলে এটি পরিবেশবান্ধব।”

মেয়র জানান, সিটি করপোরেশন দিনে দুইবার মশার ওষুধ ছিটানোর নির্দেশ দিয়েছে—একবার সকালে, একবার বিকালে। তবে অনেক ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ের কর্মীরা যথাযথভাবে কাজ না করায় নগরবাসীকে অনিয়ম দেখলে চসিককে জানানোর আহ্বান জানান তিনি।

মেয়র বলেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মশা নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। দেশীয় কিছু কীটনাশক শুরুতে ব্যবহার করা হলেও মশার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ায় নতুন কৌশল নিতে হচ্ছে। বিটিআই প্রযুক্তি পরীক্ষিত ও নিরাপদ।”

মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “আমরা চট্টগ্রামের নালা ও খাল পরিষ্কারের কাজ করছি, ফলে মশাগুলো বাসাবাড়ির আশপাশে চলে যাচ্ছে। তাই নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। ফুলের টব, টায়ার বা নির্মাণ সামগ্রীতে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে।”

পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফলের ভিত্তিতে নগরজুড়ে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগের পরিকল্পনার কথা জানান মেয়র। তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে এর কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হবে। সন্তোষজনক ফলাফল পেলে পুরো চট্টগ্রাম নগরে এর ব্যবহার বাড়ানো হবে।”