চট্টগ্রামে এক পোশাক কারখানার সহকর্মী নয়ন বড়ুয়া (২৯) তার সঙ্গে বসবাসকারী জোসনা আক্তার (৩০) কে গলাটিপে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বিয়ের নিবন্ধন নিয়ে বিরোধের জের ধরে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সোমবার (২৪ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তদন্তে জানা গেছে, কালুরঘাটের একটি পোশাক কারখানায় একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একত্রে বসবাস শুরু করেন। তবে জোসনা বিয়ের নিবন্ধন করাতে চাইলে নয়ন বারবার এড়িয়ে যান। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, “জোসনা নয়নকে মামলা ও সামাজিকভাবে হেয় করার হুমকি দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার সকালে তাদের ভাড়াবাসায় তাকে গলাটিপে হত্যা করেন। পরে মরদেহ বস্তাবন্দী করে লালখান বাজারের উড়ালসড়কের নিচে ফেলে দেন।”
রোববার লালখান এলাকা থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধারের পর পিবিআই আঙুলের ছাপ যাচাই করে জোসনার শনাক্তকরণ করে। তার মুঠোফোনের কল রেকর্ড থেকে নয়নের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি খুনের কথা স্বীকার করেছেন।
পিবিআই চট্টগ্রামের মহাপরিদর্শক নাইমা সুলতানা বলেন, “এটি একটি সম্পর্কজনিত হত্যাকাণ্ড। বিয়ের চাপেই মূলত ঘটনাটি ঘটেছে।” নয়নকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জোসনার বড় বোন তৈয়বা বেগম খুলশী থানায় মামলা করেছেন। স্থানীয়রা জানান, জোসনা গত কয়েক মাস ধরে নয়নের সঙ্গে বসবাস করছিলেন।