ঢাকাবুধবার, ২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘সেনাবাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র চলছে’ : তারেক রহমানের সতর্কবার্তা

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মার্চ ২৪, ২০২৫ ১০:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিযোগ করেছেন যে, একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্তের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। সোমবার দলের ভার্চুয়াল ইফতার মাহফিলে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিরতার পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। জনগণ স্থিতিশীলতা চাইলেও কিছু মহল এই অস্থিরতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। অতীতের ভুলগুলো পুনরাবৃত্তি না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিভেদ সৃষ্টি করে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা কোনোভাবেই জাতীয় স্বার্থের পক্ষে নয়।

এই ইফতার মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে জনগণের সুদৃঢ় সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখা সবার দায়িত্ব। সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে ব্যবহার করার যে কোনো অপচেষ্টাই দেশের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে পারে।

সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক মহলের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিশেষ করে সেনা-রাজনৈতিক বৈঠক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে বলে মত দিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারেক রহমানের বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপি একদিকে সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক আলোচনার বাইরে রাখতে চাচ্ছে, অন্যদিকে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, গত এক মাসে সেনাবাহিনী-সম্পর্কিত বিতর্ক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায় ২৩,৫০০ পোস্ট শেয়ার হয়েছে এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে ৪৫০টিরও বেশি প্রতিবেদন। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের এক জরিপে দেখা গেছে, ৭৮ শতাংশ নাগরিক সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক বিতর্কের বাইরে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী দিনগুলোতে সেনাবাহিনী ও রাজনীতিকে ঘিরে আরও আলোচনা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা ও রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক আরও তীব্র হতে পারে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সমন্বয় দরকার বলে মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দও রাজনৈতিক দলগুলোকে সংযত ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।