অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই ভিডিওটি ‘বুকে পাথর চাপা দিয়ে মেনে নেওয়া সিদ্ধান্ত’ ক্যাপশনসহ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়।
ভিডিও বার্তায় আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “সেনা প্রধানের দিক থেকে মূল ভেটো ছিল, ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন? কেন অন্য কোনো ব্যক্তি নয়? ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে মামলা আছে। তিনি একজন কনভিক্টেড ব্যক্তি। একজন কনভিক্টেড ব্যক্তি কিভাবে একটা দেশের প্রধান উপদেষ্টা হতে পারেন? আওয়ামী লীগ একজন লোককে একেবারেই দেখতে পারছে না। এছাড়া বাংলাদেশে ৩০-৪০ শতাংশ ব্যক্তি আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করে। এই ৩০-৪০ শতাংশ ব্যক্তির বিরুদ্ধে গিয়ে একজন ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা করা উচিত?”
তিনি আরও যোগ করেন, “সেনাপ্রধান শেষ পর্যন্ত আমাদের বলেছিলেন, আমি বুকে পাথর চাপা দিয়ে এই সিদ্ধান্তটা মেনে নিচ্ছি।”
এই ভিডিও বার্তা প্রকাশের আগে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) গভীর রাতে হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আরেকটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কামব্যাকের আর কোনো সুযোগ নেই। বরং আওয়ামী লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ হতেই হবে।”
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এই ভিডিও বার্তা এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ট্যাটাস রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত করেছে। বিশেষ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব এবং আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে এই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এই বক্তব্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় চাপের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অন্যদিকে, হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ট্যাটাস আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনের সংগঠকদের অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।