বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল ও পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “তারা যদি কোনো কৌশল অবলম্বন করতে চান, তবে আমরা তা হতে দেব না। জনগণও তা মেনে নেবে না।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “ফ্যাসিস্টদের সমর্থকরা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ক্ষমা চান, তবুও তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।” তিনি আরও যোগ করেন, “সরকারকে ঘিরে কিছু লোক দেশের স্বার্থের বিপরীতে তাদের ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থ অর্জনের জন্য বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে, যা দেশের জনগণ ও জাতির জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।”
তিনি আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরিকল্পনার প্রতি কঠোর ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের জন্য কোনো নতুন পরিকল্পনা নেয়, তবে তা দলীয় সমঝোতা নয়, বরং দেশের জনগণ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে। তাদের এই কৌশল যদি জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে হয়, তবে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না।”
মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্যে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরিকল্পনা ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় তাদের ভূমিকার প্রতি তীব্র প্রতিবাদ ফুটে উঠেছে। তিনি পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের নীতিগত অবস্থান ও কৌশলকে জনবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, “দেশের মানুষ এখন সচেতন। তারা বুঝতে পারছে কারা দেশের স্বার্থে কাজ করছে এবং কারা নিজেদের স্বার্থে দেশকে ব্যবহার করছে। আওয়ামী লীগের কোনো কৌশলই এখন আর জনগণকে ধোঁকা দিতে পারবে না।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে, বিশেষ করে যদি আওয়ামী লীগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের মতো কোনো পদক্ষেপ নেয়।
মির্জা ফখরুলের এই সতর্কবার্তা বিএনপি ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। তারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার জন্য এই বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে এই বক্তব্যের প্রভাব কতটা হবে, তা নির্ভর করবে সামনের দিনগুলোর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও জনগণের প্রতিক্রিয়ার ওপর।
সূত্র ঃ https://www.facebook.com/share/v/1AHS7z15h2/