ঢাকামঙ্গলবার, ১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চট্টগ্রামে বর্জ্য থেকে গ্যাস-বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্রিটিশ কোম্পানির প্রস্তাব

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মার্চ ১৮, ২০২৫ ৩:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রাম শহরের বর্জ্য থেকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে এসেছে ব্রিটিশ কোম্পানি ডিপি ক্লিনটেক। সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে নগরীর টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) অস্থায়ী কার্যালয়ে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথে এক বৈঠকে এ প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটি।

ডিপি ক্লিনটেকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শতভাগ ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই)-এর মাধ্যমে তারা এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে বিশ্বের পাঁচটি দেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও শক্তি উৎপাদন খাতে সফলভাবে প্লান্ট পরিচালনা করছে। চট্টগ্রামে বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তিগত ও বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা মূল্যায়নের জন্য চসিকের সাথে আলোচনা চলছে।

সভায় প্রকল্পের কারিগরি দিক, বিনিয়োগের পরিমাণ এবং পরিবেশগত প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরপর চসিকের পক্ষ থেকে ডিপি ক্লিনটেকের প্রতিনিধিদলকে নগরীর আরেফিন নগরের ওয়েস্ট ডাম্পিং স্টেশন পরিদর্শন করানো হয়। এ স্থানটিই বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্টের জন্য প্রাথমিকভাবে বিবেচনাধীন বলে জানা গেছে।

চসিকের পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নেন প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। ডিপি ক্লিনটেকের প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেথিও মোলেনা, স্থানীয় প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম, মো. মারুফ এবং ক্যাপ্টেন জাবেদ।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন দিন দিন বাড়তে থাকা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী। ডিপি ক্লিনটেকের এই উদ্যোগ শহরের বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদনের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব সমাধান নিশ্চিত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন প্রকল্পটির প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। চসিক সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি চূড়ান্ত হলে চট্টগ্রাম বাংলাদেশের মধ্যে বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদনের মডেল শহরে পরিণত হতে পারে।

এই উদ্যোগ শহরের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ, পরিবেশ সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।