আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অবস্থান ও কল তালিকা ফাঁস হওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। জুলাই মাসের গণ-আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় তাকে প্রধান হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেই সময়ের পর থেকে তার বর্তমান অবস্থান নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।
জুলাই আন্দোলনের চরম প্রতিরোধের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনাসহ অনেক নেতা-কর্মী দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে ওবায়দুল কাদেরের নাম। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার মোবাইল সিম কার্ডের অবস্থান ও কল তালিকা বিশ্লেষণ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় তুলেছে।
ফাঁস হওয়া কল তালিকা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৫ আগস্ট দুপুর ২টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অবস্থান করছিলেন। দুই মাসের কল লগ পরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি একাধিক অভিনেত্রী ও মডেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। তার কল তালিকায় মিস বাংলাদেশ ফারজানা, অভিনেত্রী কেয়া, আজেনা এলিন এবং ময়মনসিংহের নেত্রী কবিতার নাম উঠে এসেছে।
বিশেষভাবে, ৫ আগস্ট তিনি অভিনেত্রী সোহাইনা সাবা এবং মেঘলা নামের আরও এক অভিনেত্রীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। প্রবাসী সাংবাদিকদের মাধ্যমে তার কল তালিকার কিছু অংশ অনলাইনে ফাঁস হলে তা দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
ওবায়দুল কাদেরের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা, বিভিন্ন অভিনেত্রী ও মডেলের সঙ্গে তার ভাইরাল হওয়া ছবি এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন গুজব নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তার ব্যক্তিগত জীবন ও রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরেই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার অবস্থান ও কল তালিকা ফাঁস হওয়ার ঘটনা আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে এবং দলটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানামুখী আলোচনা ও বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে।