চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য ক্রমশ প্রকাশ পাচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনের প্রয়োজন হবে কি না, সেটি সরকারকেই বিবেচনা করতে হবে। শুধু নির্বাচন নয়, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের দাবিতেও যদি জনগণকে রাজপথে নামতে হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। তাই ছলচাতুরীর আশ্রয় না নিয়ে অবিলম্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে জনগণের নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা সরকারের দায়িত্ব।
গতকাল ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ ইফতার মাহফিল সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য এবং দেশবাসীর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সরওয়ার আলমগীর বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে। এটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের দল, গণমানুষের দল। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতার লোভে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেছিল, তাদের স্বপ্ন কখনোই বাস্তবায়িত হবে না।
তিনি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে অপরাধপ্রবণতা ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব হলেও প্রশাসনের ভেতরে এখনো আওয়ামী লীগের দোসররা সক্রিয় রয়েছে, যা দেশকে আরও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এ সময় তিনি ভারতে তারাবির নামাজ চলাকালে একটি মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং একটি মাজারে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর যেকোনো হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং দুঃখজনক। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোবারক হোসেন কাঞ্চনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, এস. এম. মনসুর চৌধুরী ও জালাল উদ্দীনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির প্রবীণ নেতা আহমদ হোসেন তালুকদার, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন শাহীন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল হুদা চৌধুরী এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম চৌধুরী।
ইফতার মাহফিলে দলীয় নেতাকর্মী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।