বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসলামী ছাত্রশিবিরের গৌরনদী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম পলাশ (২৬)কে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার ইসলামী ছাত্রশিবির বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি আকবর হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামী ছাত্রশিবিরের আদর্শ, শৃঙ্খলা ও ইসলামী নৈতিকতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মাইনুল ইসলাম পলাশকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পলাশ গৌরনদী উপজেলা শাখার সাথী ও উপজেলা সেক্রেটারির দায়িত্বে ছিলেন।
ইসলামী ছাত্রশিবির বরিশাল জেলা সভাপতি আকবর হোসেন বলেন, “মাইনুল ইসলাম পলাশ ২৫তম সেশনে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জানার পরপরই তাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গৌরনদীর বদরপুর গ্রামের মুসল্লী বাড়ি মসজিদের ইমাম ও শিবির নেতা পলাশকে মসজিদ সংলগ্ন এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে অবস্থান করতে দেখা যায়। এ সময় এলাকাবাসী তাদের হাতেনাতে আটক করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রবাসীর স্ত্রীসহ পলাশকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গৌরনদী থানার এসআই জুয়েল হাওলাদার বাদী হয়ে ২৯০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। আটক মাইনুল ইসলাম পলাশ উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম শোলক গ্রামের শাহ আলম ফকিরের ছেলে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, “অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ওই দুইজনকে জনরোষ থেকে রক্ষা করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুক্রবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”
এ ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নৈতিক অবস্থান সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।