চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের দোহাজারী সদরে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুলগামী ভাই-বোনসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন দোহাজারী জামিজুরি নিবাসী জসিম উদ্দিনের সন্তান ওয়াকার উদ্দীন আদিল (১২) ও উম্মে হাবিবা রিজভী (১৫)। এ ছাড়া রিকশাচালক রুহুল আমিন (৪৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রামমুখী পূববী পরিবহনের একটি বাস ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পিছন থেকে ধাক্কা মারে। এতে ঘটনাস্থলে আদিল ও রিকশাচালক রুহুল আমিন নিহত হন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান উম্মে হাবিবা রিজভী। গুরুতর আহত হয়েছেন আরেক স্কুলছাত্রী নবম শ্রেণির কাজী ফাহমিদা ওয়াশিমা তুশিন (১৫)।
নিহত ভাই-বোন দোহাজারী পাঠশালা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল। তারা সকালে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হয়।
দুর্ঘটনার পর বাসচালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি সুবরঞ্জন চাকমা। তিনি বলেন, ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে এবং ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার জেরে বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছে। তাদের দাবি, সড়কে পথিচলাচল নিরাপদ করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তারা অভিযোগ করেন, সড়কে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়ত প্রাণহানি ঘটছে। বিক্ষোভের কারণে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই সড়কে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা অব্যাহত রয়েছে। তারা দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা জোরদার ও পথিচলাচল ব্যবস্থা উন্নত করার দাবি জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। এদিকে, দুর্ঘটনায় আহত তুশিনকে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।