এনসিপির শীর্ষ ১০ নেতার তালিকায় রয়েছেন বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের এক অগ্নিকন্যা। জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছেন ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং এলাকার তরুণী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদা সারওয়ার নিভা। আওয়ামী পরিবারে বেড়ে উঠলেও স্বৈরাচারবিরোধী প্রায় সব আন্দোলনে একেবারে সামনের সারিতেই ছিলেন নিভা। তিনি ছাড়াও এনসিপির ১৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে চট্টগ্রামের আরও অন্তত ১০ তরুণ-তরুণী স্থান পেয়েছেন।
তাদের মধ্যে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন তাজনুভা জাবীন এবং ছাত্রনেতা সৈয়দ হাসান আলী। চিকিৎসক ও অভিনেত্রী তাজনুভার গ্রামের বাড়ি ফতেয়াবাদে। আর সৈয়দ হাসান আলী নগরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। যুগ্ম সদস্য সচিব পদে মিরসরাইয়ের সাগুফতা বুশরা মিশমা, কক্সবাজেরর মহেশখালীর সন্তান এস এম সুজা উদ্দিন ও মীর আরশাদুল হক দায়িত্ব পেয়েছেন। সাতকানিয়ার জোবায়ের আরিফ যুগ্ম মুখ্য সংগঠক পদে এবং ইমন সৈয়দ দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
এর বাইরে সংগঠক হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসেল আহমেদ এবং সদস্য পদে মহসীন কলেজের নীলা আফরোজ ও জাওয়াদুল করিম দায়িত্ব পেয়েছেন। জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুফতা বুশরা মিশমা বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া প্রায় সবাই জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন। তাদের সবাই আবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বেও ছিলেন। তবে রাসেল নাগরিক কমিটিতে ছিলেন না, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ছিলেন।