২০২৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, বিএনপির প্রখ্যাত নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমানের জানাজায় হাজারো শোকার্ত মানুষের ঢল নামে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জামিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ও তার আশেপাশের এলাকায়। বিএনপির প্রখ্যাত নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমানের জানাজায় হাজারো শোকার্ত মানুষের ঢল নামে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জামিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ও তার আশেপাশের এলাকায়।জুমার নামাজের পর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, এবং সকাল থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ মসজিদে আসতে শুরু করে। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ, কুমিল্লা, ফেনী, কক্সবাজার, বান্দরবান, চকরিয়া ও খাগড়াছড়ি থেকে বিএনপি নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ মসজিদ প্রাঙ্গণে জড়ো হয়। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড়ে মসজিদের প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে লালখান বাজার ও আলমাস সিনেমা মোড় পর্যন্ত এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া পড়ে। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন, যা নোমান সাহেবের প্রতি মানুষের গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতিফলন।
আব্দুল্লাহ আল নোমান, যিনি একজন সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন, ২০২৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি হেলিকপ্টারযোগে তার মরদেহ চট্টগ্রামে আনা হয়, এবং তার ভিআইপি টাওয়ারের বাসায় হাজারো নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় জমান। জানাজায় বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গোলাম আকবর খন্দকারসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন। নোমান সাহেবের পরিবার, তার ছেলে সাইদ আল নোমানসহ অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা শেষে আব্দুল্লাহ আল নোমানকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় এবং তার মরদেহ রাউজানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাদ আসর সর্বশেষ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
আব্দুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম একটি নেতৃত্বশূন্য অবস্থায় পড়েছে বলে অনেক শোকার্ত মুসল্লি মন্তব্য করেন। তারা বলেন, নোমান সাহেব, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং মহিউদ্দিন চৌধুরীর মতো নেতাদের অবসানের পর চট্টগ্রামের জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর এখন আর কেউ নেই। আব্দুল্লাহ আল নোমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম ও জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার জানাজায় লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি তার জনপ্রিয়তা ও অবদানের স্বাক্ষর বহন করে।