সদ্য ঘোষিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম উত্তর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও মহানগরের আহবায়ক কমিটির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে সংগঠনটির সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধিগণ। আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম এর জামালখানস্থ প্রেসক্লাব এ এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বৈবিছাআ সমন্বয়ক জুবাইরুল আলম মানিক, চৌধুরী সিয়াম ইলাহী, আব্দুল বাসির নাইম প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করেন, “গতকাল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর ফেইসবুক পেইজে নতুন কমিটির ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটির আহবায়ক করা হয় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত কুখ্যাত সমন্বয়ক রিজাউর রহমানকে। এছাড়াও, আমরা দেখেছি যে যারা আন্দোলনে রাস্তায় নামেনি, যাদেরকে কেউ কখনোই আন্দোলনে একদিনের জন্যও দেখি নি, তারা এই কমিটিতে পদ পেয়েছে। এছাড়াও কথিত জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদেরকেও এই কমিটিতে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুষ্পিতা নাথ সিটিজি পোস্টকে বলেন, “৫ই আগস্টের আগে বৈছায়া সকল গণমানুষের প্ল্যাটফর্ম ছিলো।কিন্তু ৫ই আগস্টের পর অগণতান্ত্রিকভাবে সকল আন্দোলনকারীদের সারাদেশ থেকে মাইনাস করে একটা ছাত্রসংগঠনের রূপ দেওয়া হলো।এই ছাত্রসংগঠনের রূপ দিয়ে প্রথমেই বৈছায়া গণ অভ্যুত্থানের সকল মানুষের সাথে বেঈমানি করলো।এরপর তারা একপাক্ষিকভাবে নিজেদের সিদ্ধান্তকে চাপিয়ে দেওয়া শুরু করলো।এবং জনগণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে মানুষের আশা আকাঙ্খকে ধূলিসাৎ করলো।সেই সাথে আওমীলীগ পুনর্বাসন করে, লুটপাটে জড়িত থেকে,চাঁদাবাজের শীর্ষ স্থানে থেকে,বাজার সিন্ডিকেটের সাথে থেকে,আওমীলীগে সকল কাজ তারা এই প্ল্যাটফর্মের মধ্য দিয়ে করলো।তারা সবসময় নারীদের মাইনাস করলো।অন্য ধর্মালম্বীদের জন্য কাল হয়ে দাড়ালো,নারী হেনস্তাকারীদের শেল্টার দিলো।প্রাইভেটকে অবমূল্যায়ন করলো।প্রাইভেটকে যারা ওউন করেনা তাদেরকে কমিটিতে এনে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো।অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি হবে বলে আজ ৪মাসে সেটা হলোনা।এবং এমন একটা কমিটি আনলো যেখানে চাঁদাবাজ,অসৎ,লুটতরাজদের দিয়ে কমিটি করা হলো ৩০০মানুষের ছাত্রলীগ কায়দায় এতে বৈছায়ার লক্ষ্য উদ্দেশ্য পরিষ্কার।এক কথায় বৈছায়া একটা অগণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠন। যারা সকল অন্যায়ের স্তূপ। এবং পুরোদমে বৈষম্যকারী ছাত্র আন্দোলন। এদের সাথে ছাত্রলীগের বিশেষ পার্থক্য গত ৬মাসে আমি খুঁযে পাইনি।তাই এককথায় এদের ছাত্রলীগ বলতে পারি।এবং এরা স্পষ্ট করে শহীদী রক্তের সাথে বেঈমানি করেছে।এবং ইতিহাসে এরা বেঈমান বলে মীরজাফরের পর স্থান পাবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সাথে সম্পৃক্ত অনেক আন্দোলনকারী, পেশাজীবি ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষজন।