চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন থানায় ওয়ার্ড নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের আরও ৩৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর একটার দিকে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— কোতোয়ালী থানার আসামি চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক লীগ নেত্রী ও ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা লিমা (৪০), মো. শাহাদাৎ হোসেন অনি (২৪), শুভ মল্লিক (২৯), ওসমান গনি রনি (২৮), মো. সুরুজ (২০), বাকলিয়া থানা আওয়ামী ওলামালীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নুর মোহাম্মদ (৫৫), মো. খোরশেদ আলম (৪৫), মো. মিজবাহ হোসেন জিফাত (২৫), হাবিবুর রহমান জুয়েল (২৭), সদরঘাট থানার হকার্স লীগের সভাপতি মো. মাসুম (২৯), ২৯ নং পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আশিক (৩৫), বায়েজিদ বোস্তামী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল বাতেন (৪৩), মো. হারুন অর রশিদ ধ্রুব প্রকাশ জনি (৩০), মো: মুন্না (২১), মো. ইকবাল (২১), চকবাজার থানার সাজু বিশ্বাস (২৪), সাইফুল ইসলাম (১৯), পাঁচলাইশ থানার মো. ফয়েজ সিকদার (২২), সৈয়দ মো. আশরাফুল হক সিফাত (২২), সৈয়দ মো. আসাদুল হক আসাদ (১৯), চান্দগাঁও থানার মো. মুরাদ মিয়া (৩৮), রতন মিয়া ওরফে আরজু (৪২), হালিশহর থানার মো. রাজ্জাক আশরাফি ওরফে প্রকাশ রাজ (৩২), ডবলমুরিং থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগঠক মো. গোলাম শরিফ তুষার (৩৪), মো. তোফাজ্জল হোসেন (৩৯), মো. ইমরান (৩২), মো. শফিউল আলম (৪৯), ইফরাত নুর, মো. খোকন (৩৯), প্রিয়া মনি (১৯), আইনের সাথে জড়িত ১৭ বছর বয়সী এক শিশু, বন্দর থানার মো. নয়ন (৩০), খুলশী থানা যুবলীগের সহ সভাপতি মো. সুমন (৩৪), মো. আব্দুল মান্নান (৫৫), আকবরশাহ্ থানার নাজীম উদ্দিন (৩৪), ইপিজেড থানার শওকত ইসলাম (২৬), বায়েজিদ বোস্তামী থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি বিপ্লব কুমার দাস ওরফে প্রকাশ মাটি (৩৭), পতেঙ্গা মডেল থানার মো. ওমর আলী (২৮) এবং কর্ণফুলী থানার আসামি ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. রাকিব।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা, সন্ত্রাসী বিরোধী ও পেনাল কোড আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে।