চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১১ জন ছাত্রীসহ ১২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেছেন বহিষ্কৃত পাঁচ ছাত্রী। আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর স্টেশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাত, সুমাইয়া শিকদার, উম্মে হাবিবা বৃষ্টি, মাইসারা জাহান ইশা ও জান্নাতুল মাওয়া মিথিলা। তাঁরা জানান, বহিষ্কারাদেশ অন্যায়ভাবে দেওয়া হয়েছে এবং প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না করলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।
ভুক্তভোগী সেই ছাত্রীদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো:
১. তিনদিনের মধ্যেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে।
২. প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো বিচার প্রক্রিয়া চালানো যাবে না।
৩. হামলাকারী ছাত্রদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. অনুমতি ছাড়া ছাত্রীদের ভিডিও ধারণ এবং নারী বিদ্বেষী আচরণের জন্য অভিযুক্ত সাংবাদিকদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৫. হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার দায় নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডিকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব স্থাপনা এখনো ফ্যাসিবাদের প্রতীক হিসেবে পরিচিত, সেগুলোর নাম পরিবর্তন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিবর্তে প্রশাসন উল্টো ভুক্তভোগীদের শাস্তি দিচ্ছে। তাঁরা বলেন, “নারীদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে বহিষ্কারাদেশ দিয়ে প্রশাসন আমাদের কণ্ঠ রোধের চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত থামবো না।”
তাঁরা সাংবাদিক, প্রশাসন এবং ছাত্র সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পাশে থাকার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলন আরও বেগবান হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রীরা।