যুক্তরাষ্ট্রের নবগঠিত ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ (ডিওজিই)-এর প্রধান ও খ্যাতনামা উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সরকারের একটি সূত্র। বৈঠকে স্পেসএক্স-এর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা রিচার্ড গ্রিফিথ-ও উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র মতে, বৈঠকে সরকারি কার্যকারিতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনার বিস্তারিত বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেওয়া ইলন মাস্কের সঙ্গে ড. ইউনূসের এই বৈঠককে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে, প্রযুক্তি ও সামাজিক ব্যবসার সমন্বয়ে সম্ভাব্য সহযোগিতার দিকগুলো নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবগঠিত ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ (ডিওজিই)-এর প্রধান এবং আলোচিত ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সূত্র সিটিজি পোস্টকে নিশ্চিত করেছে।
ইলন মাস্ক বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। পাশাপাশি তিনি মহাকাশযান প্রস্তুতকারক কোম্পানি স্পেসএক্স এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এর স্বত্বাধিকারী।
বৈঠকে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান।
সূত্র অনুসারে, ইলন মাস্কের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন মহাকাশযান প্রস্তুতকারক কোম্পানি স্পেসএক্স-এর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা রিচার্ড গ্রিফিথ।
যুক্তরাষ্ট্রের নবগঠিত ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ (ডিওজিই)-এর প্রধান ও খ্যাতনামা উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের সঙ্গে ড. ইউনূসের এই বৈঠককে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে, প্রযুক্তি ও সামাজিক ব্যবসার সমন্বয়ে সম্ভাব্য সহযোগিতার দিকগুলো নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি বৈঠকে ঠিক কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় থেকেই টেসলা, স্পেসএক্স ও এক্সের মালিক ইলন মাস্ককে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে দেখা গেছে। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ সহায়তা দিয়েছেন তিনি।
এর বিনিময়ে, ক্ষমতায় আসার পর ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ (ডিওজিই) নামে নতুন একটি বিভাগের দায়িত্ব দিয়েছেন ট্রাম্প। এই বিভাগের অধীনে সরকারি ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্যে কর্মচারীদের ছাঁটাইয়ের ক্ষমতা পেয়েছেন মাস্ক।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
বাংলাদেশ গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর এবং নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।
এই বৈঠককে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা ও সম্ভাব্য কূটনৈতিক সমন্বয়ের অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।