আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ধানমন্ডি ৩২ এ আক্রমণের পর শেখ হাসিনা ও তার বোন রাজনৈতিকভাবে হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তার ভাষ্যমতে, শেখ হাসিনা এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর, তবে দেশে সংগঠিত করার মতো নেতা নেই, আর যারা লুকিয়ে আছেন, তারাও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
এই নেতা আরও জানান, যারা বিদেশে পালিয়েছেন, তাদের অনেকেই শেখ হাসিনার আচরণে ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে শেখ হাসিনা কাউকে কিছু না জানিয়ে ভারত চলে যাওয়ায় অনেকের মধ্যে বিশ্বাসঘাতকতার অনুভূতি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, “অনেকেই দলকে না জানিয়ে পালিয়ে গেছেন, যা দলীয় ঐক্যে বড় ধাক্কা দিয়েছে।”
এছাড়া, বিদেশে থাকা নেতাদের অনেকেই অর্থ সংকটে রয়েছেন, কারণ তারা অপ্রস্তুত অবস্থায় দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন এবং বেশিরভাগ সম্পদ অন্যের নামে রেখেছিলেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি আমির হোসেন আমু এবং নসরুল হামিদ বিপুর কথা উল্লেখ করেন। তার দাবি, আমুর সমস্ত সম্পদ অন্যদের নামে, আর বিপুর দুবাইয়ের বিনিয়োগ রাজিব সামদানির মাধ্যমে করা হয়েছিল, যা সামদানি ফেরত দিচ্ছেন না। বিপু ও তার স্ত্রী বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন বলেও তিনি জানান।
এই সিনিয়র নেতা আরও জানান, অধিকাংশ নেতা ভারতে অবস্থান করছেন, ফজলে নূর তাপস সিঙ্গাপুরে আছেন, আর বাকিরা দুবাই, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছেন। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পার হয়ে কলকাতা পর্যন্ত নিরাপদে পৌঁছাতে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মাথাপিছু ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করছেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দলের শীর্ষ নেতাদের এমন অবস্থান আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে বলে মত বিশ্লেষকদের।