২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তার নেতা-কর্মীদের বুলেটে ১০৫ জন শিশু শহিদ হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সোমবার সংগঠনটির ওয়েসাইটে ৫৪ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা চরম আকার ধারণ করলে স্থানীয় সাধারণ জনগণ, এমনকি শ্রমিক ও রিকশাচালকরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা এই সময় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি করে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় হাসিনা সরকার। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা হেলিকপ্টার থেকে ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে গুলি করে এবং তাদের হত্যা করে। গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ বাধা দেয়। এতে আহত অনেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটে। ১৯ জুলাইয়ের পর নির্বিচার গুলিতে শিশু সামির, আবদুল আহাদ, রিয়া গোপ, মোহাম্মদ রাসেলসহ ১০৫ জন শিশু নিহত হয়।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ জানিয়েছিলেন, জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে মোট ১০৫ জন শিশু মারা গেছে। এটি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ চূড়ান্ত করেছে আমরা সেখান থেকে তথ্য নিয়ে এসেছি। শিশু হিসেবে ১৮ বছর পর্যন্ত বয়স ধরে এ তালিকা করা হয়েছে।
তিনি বলেছিলেন, গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র শ্রমিক জনতা পুনর্বাসন ও চিকিৎসার জন্য বিশ্ব ব্যাংক থেকে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা পাচ্ছি। এটির ফরমালিটি শেষ পর্যায়ে আমরা আছি, শিগগিরই এ অর্থ ছাড় হবে।