ঢাকাবুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিয়ে একের পর এক বৈঠক

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫ ১১:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের ‘সমাধান’ খুঁজতে চার উপদেষ্টাকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এসে সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিন উপদেষ্টা। তবে বিশেষ দায়িত্ব পাওয়া চার উপদেষ্টাদের একজন ওই সময় আসতে না পারলেও পরে তিনি এসে কাজের অগ্রগতির খোঁজখবর নিয়েছেন।

এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের কোনো না কোনো একজন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি দেখতে চট্টগ্রাম আসবেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক। তবে তিনি বলেছেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের ফিরিস্তি নিতে নয়; সীমাবদ্ধতাগুলোকে চিহ্নিত করতেই উপদেষ্টারা আসবেন।’

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, ‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত চার উপদেষ্টা এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে। যাতে আগামী বর্ষায় চট্টগ্রামের জনগণ যেন এটার সুফল পায়। এটার পরিপূর্ণ সুফল হয়তো পাবে না। কিন্তু কাজ যখন শুরু হয়েছে, ধারাবাহিকতায় এই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে বলে আমি আশাবাদি।’

বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা বাজেট ঘাটতি রয়েছে। এটা নানান দিক থেকে বিভিন্নভাবে আমাদের ম্যানেজ করতে হচ্ছে। বাজেট স্বল্পতা থাকলেও চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সরকারের অগ্রাধিকার। তাই প্রতি সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের কোনো না কোনো একজন চট্টগ্রাম আসবেন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি দেখতে। আপনাদের কাজের ফিরিস্তি নেয়ার জন্য নয়, আমরা যাতে সীমাবদ্ধতাগুলোকে চিহ্নিত করতে পারি। সেগুলো যেন দ্রুত সময়ে সমাধান করতে পারি সেজন্যই আসা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ধীরে ধীরে আমরা জনসম্পৃক্ততা ও সফলতা পাব।’

ভোগান্তি কমাতে প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলতে নগরবাসীকে সচেতন করতে হবে। কিন্তু এরপরও সচেতন না হলে পরবর্তীতে জরিমানা ও শাস্তি দেয়া যায় কিনা; সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে ভেবে দেখতে হবে।’

চসিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনেক ধরনের কাজ করতে পারে তুলে ধরে এ উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথমে সচেতনতা, তারপর সতর্কতা, এরপর শাস্তি; এভাবে যদি  এগিয়ে যাওয়া যায় আশাকরি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পাওয়া যাবে। নগরে বসবাসকারী যে সমস্ত পরিবার শতভাগ কমপ্লায়েন্স মেনে চলবে তাদের পুরস্কৃত করা যেতে পারে। এগুলো যারা মান্য করবে না তাদের তিরস্কার এবং জরিমানা করা যায়। যারা কোনভাবেই মানবে না তাদের দুয়েক জনকে জেলও দিতে পারি। তাহলে ময়লা যত্রতত্র ফেলবে না।’

চট্টগ্রাম শহরের রাস্তাঘাটে আগে যেরকম ময়লা আবর্জনা ছিল সেটার অনেকটা উন্নতি হয়েছে জানিয়ে ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘শহরটা আগের তুলনায় পরিচ্ছন্ন মনে হচ্ছে। যতটুকু ভালো কাজ হয়েছে প্রথমে সেটার মূল্যায়ন করেন। পরে বাকি যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে; সেগুলো আমরা এড্রেস করবো। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সকল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের যে সমন্বয়ের সৃষ্টি হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতা যাতে কোনভাবেই ক্ষুণ্ন না হয় সেদিকে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।’