চট্টগ্রাম নগরের জামালখানে সড়ক অবরোধ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমরণ অনশনে বসেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এই অনশন শুরু হয়। এতে একপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, ‘চব্বিশের রক্তক্ষয়ী জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার ওপর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড চালানো খুনি হাসিনাসহ সকল হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।’
রাসেল আহমেদ আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলছি— পুলিশ প্রশাসনসহ যারা জুলাই আন্দোলনে আমাদের ভাই-বোনদের ওপর গুলি চালিয়েছে, তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে উঠে যাবো না। যে কারণে আমাদের ভাইয়েরা শহীদ হয়েছেন, সেই মানবিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখানে তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান। বিক্ষোভের পরে তারা সড়কেই বসে পড়েন। তবে, এই দিন চট্টগ্রামের শীর্ষ সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বা তার অনুসারীদের দেখা যায়নি।
এছাড়া, ২৮ জানুয়ারি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগ ও ‘অপশাসন-নির্যাতন’ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি হরতালের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাজপথে নেমেছেন।