দাবি পূরণের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ বুধবার সকাল থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
মধ্যরাতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের বাসায় বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা। পরে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার প্রত্যাহার করে নিলাম। উপদেষ্টা মহোদয় কথা দিয়েছেন বুধবারের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্রুত আমাদের বিষয়টি সমাধান করবেন। আগে আমরা যেসব সুবিধা পেয়েছি, সেসব বহাল থাকবে।
মজিবুর রহমান জানান, ২০২২ সালের পরের নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে বুধবারের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহীতে রেল চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগের অবসান হয়েছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন।
এদিকে রাজশাহী ব্যুরো জানিয়েছে, সকাল ৬ টা ১০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন, ৬টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেন, ৭টা ৩৫ মিনিটে বনলতা এক্সপেক্স ট্রেন ও ৭টা ৫০ মিনিটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন রাজশাহী স্টেশন ছেড়ে যায়।
ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়াও খুশি যাত্রীরা। স্টেশন ম্যানেজার বলেন, সকাল থেকে সকল ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। তবে বনলতা ও সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি বিশ মিনিট বিলম্বে ছাড়ে।
এ ছাড়া ঢাকার কমলাপুরসহ সারা দেশের ট্রেন স্টেশন থেকেই ট্রেন ছাড়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়ায় কর্মবিরতি পালন করেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। সোমবার রাত ১২টার আগে কমলাপুর থেকে ট্রেন ছেড়ে গেলেও মধ্যরাত থেকে শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে ওঠেননি রানিং স্টাফরা। এ পরিস্থিতি চলে মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত।
রেলওয়ের কর্মীদের অভিযোগ, দিনে ৮ ঘণ্টার জায়গায় রানিং স্টাফদের কাজ করতে হয় ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা। রেলের নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য মজুরির দাবি জানানোর পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।