ভারতের কর্নাটকে ২৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ডাকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ শুরু হয়।
এর আগে এক ফেসবুক পোস্টে সমাবেশের ডাক দিয়ে হাসনাত বলেন, এ ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অতি দ্রুত ভারতের কাছে জবাবদিহি চাইতে হবে।
তিনি লিখেছেন, ভারতে একজন বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশিদের প্রতি ভারতে বিজেপির তৈরি করা ঘৃণা এখন আক্রোশে রূপান্তরিত হয়েছে। উগ্রবাদী কর্তৃক একজন বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যাকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সম্ভ্রমহানির চেষ্টা হিসেবেই আমি দেখছি।
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও লিখেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অতি দ্রুত ভারতের কাছে জবাবদিহি চাইতে হবে। হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চাপ দিতে হবে। পাশাপাশি ভারতে থাকা বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
এদিকে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভারতের কর্নাটকের কালকেরে লেক সংলগ্ন স্থানে বাংলাদেশি নারীর লাশ পাওয়া যায়। ওই নারী যে অ্যাপার্টমেন্টে কাজ করতেন, সেখান থেকে এক কিলোমিটার দূরে লাশটি মেলে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে পুলিশ আশপাশের ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয়রা শুক্রবার সকালে লেকের একটি নির্জন স্থানে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, বৃহস্পতিবার রাতে কাজ থেকে ফেরার পথে এমন নির্মম পরিস্থিতির শিকার হন নাজমা।
স্থানীয় পুলিশের মতে, নাজমা তিন সন্তানের জননী ছিলেন। তার স্বামী স্থানীয় পৌরসভার একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা যাচ্ছে, হত্যার আগে তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে কোনো সময়ে ঘটে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ভিরগো নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
