অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে তাঁর কার্যালয় ‘যমুনা’য় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল শনিবার (১১ জানুয়ারি, ২০২৫) বিকেল ৫টায় এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন, চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য জনাব এস. এম. ফজলুল হক, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও চবি সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমেদ এবং চবি উপাচার্য দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার জনাব মুহাম্মদ রিয়াজুল হারুন উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাওয়ায় তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৈঠকে, উপাচার্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক ও শান্ত একাডেমিক পরিবেশ সম্পর্কে একটি আপডেট প্রদান করেন, পাশাপাশি বিগত তিন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনার একটি ওভারভিউ প্রদান করেন। তিনি সম্মানের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যাহত উন্নয়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ কামনা করেন।
ভাইস-চ্যান্সেলর মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের জন্য আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানান এবং প্রধান উপদেষ্টা তার জন্য সুবিধাজনক সময়ে পরিদর্শনের ইচ্ছা প্রকাশ করে সদয়ভাবে গ্রহণ করেন। জবাবে, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান একাডেমিক অবস্থার প্রতি তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং গত তিন মাসে উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রচেষ্টার জন্য তার প্রশংসা করেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনার বিষয়ে উপাচার্যকে বিভিন্ন সুপারিশ প্রদান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে এবং উচ্চ শিক্ষার উন্নয়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে, শহরের জলাবদ্ধতার মতো সমস্যা মোকাবেলা এবং এর বাসিন্দাদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও বসবাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করেন।