বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রাম এর সমন্বয়কদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব, পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) নগরীর ওয়াসা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে এবং জামালখানস্থ প্রেসক্লাব পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়।
জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ এসেছিলেন চট্টগ্রামে “Proclamation of July Revolution” এর বাস্তবায়নের দাবীতে লিফলেট বিতরণ ও প্রচারণা চালাতে। এই সংশ্লিষ্ট একটি পদযাত্রা হয় তাদের। পদযাত্রাটি শেষ হয় জিইসি মোড়ে। সেখানে প্রথমে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ও তার সমর্থকেরা থাকলেও সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও তার সমর্থকদেরকে দেখা যায় নি। পরবর্তীতে হান্নান মাসুদ, রাসেল আহমেদ ও রাসেল সমর্থকেরা সেখান থেকে হেঁটে, রিকশা, সিএনজি ও বাইকযোগে ওয়াসার টেস্টি ট্রিটের উপরে একটি আরডিএস নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মিটিং ও বিশ্রামের জন্য যান। তারা প্রবেশের আধাঘণ্টা পরে আলোচিত ডট গ্যাং এর সদস্যসহ ৩০-৪০জন সমর্থক নিয়ে কেন্দ্রীয় সহ সমন্বয়ক রাফি ও জেলা সমন্বয়ক রিজাউর রহমানের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।
ঢোকার সাথে সাথেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে আব্দুল হান্নান মাসুদকে রিজাউর বলে যে “আপনি আসছেন আমি জানি না কেন? আজকে যে প্রোগ্রাম হইসে তা আমাদের জানানো হয় নাই কেনো? আপনারা গোপনে গোপনে কেনো এধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন?”
প্রত্যুত্তরে মাসুদ বলেন, “যাদেরকে জানানো প্রয়োজন তাদেরকে জানানো হইসে।” তখন রিজাউর আবারো বলেন, “আপনাকে এটার জবাব দিয়ে যাইতে হবে। এগুলো ভেতরে কেনো হয়, আমরা কেনো জানি না।”
মাসুদ বলেন, “আমি তো এরকম প্রস্তুতি নিয়ে আসি নি। ” আর আপনি কে, আপনার নাম কি? who are you?” বলে অফিসের ভেতরে চলে যান। তখন রিজাউর বলেন, “আমার নাম সবাই জানে। আমার নাম রিজাউর রহমান।”
রিজাউর তখন বলতে থাকে, “এটা বীর চট্টলার অপমান। বীর চট্টলা কখনো কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আন্দোলন করে নি। এখন কেনো কেন্দ্রের কথাই মানতে হবে?”
রিজাউর এরূপ কথা বললে সেখানে সবাই মাসুদের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এসময় আবারও রিজাউর হুঁশিয়ারি দেয়, “হান্নান মাসুদকে কেউ যদি একটা হাতও লাগায়, আমি সে হাত ভেঙে দেবো।।” যদিও স্থানীয় সূত্র বলে থেকে জানানো হয় যে রিজাউর প্রশাসনকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।
উপস্থিত অন্যান্য রাফি-রিজাউর সমর্থিতরা স্লোগান দিতে থাকে, “বীর চট্টলার অপমান, সইবে না রে জনগণ।”
ছাত্রদল নেতা ও সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগর এসে নিরাপদভাবে বের করে নিয়ে যায়, মাসুদ আর রাসেলকে। তখন রাফির নীরব ভূমিকা ছিলো লক্ষণীয়।
তাকে তারপরে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। ঐ অফিসেই ছাত্রলীগের ছেলেদেরকেও দেখা যায়। ফলে, রাসেল আর মাসুদকে বের করার সময় ছাত্রলীগবিরোধী স্লোগান দেয় রাসেল সমর্থকেরা।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদকে গাড়িতে তোলার পরেই সমন্বয়ক তানভীর শরীফ এবং সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগরের উপরে হামলা হয়। রাসেল আহমেদকে গাড়িতে তোলার পরে সাদিক আরমান একজন ছাত্র প্রতিনিধিকে হামলা করে। পরবর্তীতে, রাসেল সমর্থিত সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিকি এসে সেই প্রতিনিধিকে বাঁচিয়ে নিয়ে যায়। উপর থেকে দুই চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক সাইফুর রুদ্র ও আরিফ মইনুদ্দিন নামার সময় ডট গ্যাং এর সন্ত্রাসীরা রুদ্রকে খোলা রামদা নিয়ে ধাওয়া দেয় এবং আরিফ মইনুদ্দিনকে লাঠি দিয়ে বুকে আঘাত করে।
তারা পরবর্তীতে সেখান থেকে পালিয়ে জিইসি মোড়ে অবস্থান নেয়। অন্যান্য রাসেল সমর্থিত প্রতিনিধিদের সাথে পরবর্তীতে চকবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। কিন্তু পুলিশের সরব উপস্থিতি থাকায় কেউই আহত হয়েছে বলে জানা যায় নি।
গরীবুল্লাহ শাহ মাজার এর বাস স্ট্যান্ড থেকে অন্তর্কোন্দল থেকে উত্থিত সহিংসতার প্রতিবাদের মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবে যায় রাসেল সমর্থকেরা। সেখানে প্রেস ব্রিফিংয়ের এক পর্যায়ে রাফি আর রিজাউর আসে। তাই সেখানে রাসেল প্রেস ব্রিফিং থামিয়ে উঠে চলে আসে।
কালো টিশার্ট পরিহিত, নাজমুল নামের আহত একজনকে দেখা যায় রাফির দিকে তেড়ে যেতে দেখা গেছে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে। সেই নাজমুল সম্পর্কে খবর নিয়ে জানতে পারি, “আহত হওয়ার পরে সে বেশ কয়েকবার রাফির কাছে পৌঁছাতে চায়। কিন্তু কোনোভাবেই রাফি তাকে পাত্তা দেয় নি। এই ব্যাপারে ক্ষুব্ধ হয়ে রাফির দিকে “তুই চাঁদাবাজ, তুই চাঁদাবাজ” বলে এগিয়ে যায় সে। উপস্থিত একজন জানান, “সেই ছেলেটি পরিণতির তোয়াক্কা না করে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু তাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।”
এছাড়াও, জুনায়েদ নামের একজন আহত যোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে যে, ৩৬ জুলাই তথা ৫ আগস্টের আগে সে আহত ছিলো না। আহতের পরিচয় দিয়ে সে অনেক জায়গা থেকে আর্থিক সহযোগিতা পায়। ইভেন তাকে জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে মেজর ফেরদৌস তাকেসহ ৭জন আহতকে রিকশা দেয়। কিন্তু সে এটাও বিক্রি করে দেয়। এছাড়াও, এ-ও অভিযোগ এসেছে যে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদকে। বিজয় মিছিলের ছবি দেখিয়ে মোহাম্মদ মীর, আগ্রাবাদের ছাত্র প্রতিনিধি, প্রেস ক্লাবে প্রশ্ন করেন, “‘স্ক্র্যাচ ছাড়াই ওই ছেলে সেদিন মিছিলে অংশ নেয়। তাহলে তিনি আহত হলেন কখন?’ তারা ওই ছেলের মেডিকেল পরীক্ষা করানোরও দাবি জানান। তার আহত হওয়ার ব্যাপারে।
সেখান থেকে রাসেল ও তার সমর্থিত সমন্বয়করা চলে আসলে সহিংসতায় আহতদের মেডিকেলে পাঠানো হয় এবং বাকিরা নিরাপদে ঘরে ফিরে যায়।
১১ জানুয়ারী শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন সমন্বয়ক রিজাউর রহমান ও সহ সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির প্রশ্রয়ে ডট গ্যাং এই আস্ফালন দেখিয়েছে। জুলাই আন্দোলনে আহত ওমর ফারুক সাগরের উপর আবারো হামলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন আহত সমন্বয়ত ওমর ফারুক সাগর। সাগর নিজে এর জন্য দায়ী করেন ডট গ্যাংকে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সমন্বয়ক আরিফ মঈনুদ্দিন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ, সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী, সাইফুল ইসলাম রুদ্র, সিয়াম ইলাহী । তারাও হামলার জন্য দায়ী করেন ডট গ্যাংয়ের সদস্যদের। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ অভিযোগ করেন ছাত্রলীগের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার হওয়া ডট গ্যাং পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ভোল পাল্টে সমন্বয়কদের সাথে ভিড়তে শুরু করেন। তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন তালাত মাহমুদ রাফি ও রিজাউরের। তারা আজকে মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ ও আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।‘
হামলার শিকার চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক তানভীর শরিফ বলেন, ‘আমি জুলাইয়ের আন্দোলনে গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা পিজি হাসপাতালে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলাম। খবর আসে রাসেলকে, মাসুদকে অবরুদ্ধ করে রেখে হামলা করছে। আমাকে ফোন দেয়। আমি যাওয়ার পর আমাকে টার্গেট করে আন্দোলনের সময় শরীরের যে অংশে গুলি লেগেছিল, ঠিক সেখানেই আজ আঘাত করা হয়েছে। এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাতেমা খানম লিজা নামের একজন রাফি সমর্থিত নারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিকে লাইভে এসে হামলার অভিযোগ জানাতে দেখা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই সংগঠনের অন্যতম নেত্রী ফাতেমা খানম লিজাকে জামালখান প্রেসক্লাব ব্যতীত কোথাও দেখা যায় নি। তিনি পদযাত্রা বা ওয়াসা সহিংসতা ; কোথাওই ছিলেন না। এ ব্যাপারে সিএনজিচালক নিজাম সরোয়ার সিটিজি পোস্টকে জানান, “আমি পুরো সময়টাই ঐখানে উপস্থিত ছিলাম। আমার সামনে হইসে পুরো ঘটনাটা। বোরকা পরা মেয়েটিকে আমি কোথাও দেখি নি। আমার গাড়িতেই উনারা উঠছিলেন। লাইভ দেখাইসেন যে মামা, ঐখানে হয়তো পরে আসছে। তারে কোনো হামলাও করা হয় নাই। মারামারির সময় আমি উনারে দেখি নাই যে এটা হলফ করে বলতে পারি।” রাসেল সমর্থিত আহত সমন্বয়ক আরিফ মইনুদ্দিন তার উপরে হামলা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করলেও এ বিষয়ে তিনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেন নি।
পরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ভবনের নিচে দুই পক্ষ অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে রাত নয়টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে উপস্থিত হয় প্রেসক্লাব এলাকায়। এসময় খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঢাকাভিত্তিক দুটি অংশ চট্টগ্রামে দুটি গ্রুপকে সমর্থন দিচ্ছে। এর মধ্যে খান তালাত মাহমুদ রাফি ও রিজাউর রহমানের অংশটিকে সমর্থন দিচ্ছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদের সমর্থন পাচ্ছেন রাসেল আহমেদ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে চট্টগ্রাম থেকে একমাত্র রাসেলই স্থান পেয়েছেন।
গত নভেম্বরের শেষদিকে চট্টগ্রামের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের হল খুলে দেওয়ার পর সিট বরাদ্দ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় ইসলামী ছাত্রশিবির ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কর্মীরা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা অভিযোগ করেন, ছাত্রশিবিরের একচেটিয়া সিট দখলের বিরুদ্ধে ছাত্রদলসহ অন্য সংগঠনগুলো অবস্থান নিলেও এ সময় খান তালাত মাহমুদ রাফি ছাত্রশিবিরের পক্ষ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেও সেখানে জড়ানোর চেষ্টা করে সমাবেশের ডাক দেন। কিন্তু আরেক সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ওই সময় এর বিরোধিতা করে জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এ ধরনের কোনো কর্মসূচি দেয়নি। এ ঘটনায় তাদের দূরত্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
কারা এই ডট গ্যাং?
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘শনিবার বিকেলে তারা ২ নম্বর গেইট থেকে তাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষে ওয়াসার আরডিএস অফিসে বসেন। সেখানে ঢাকা থেকে আসা কয়েকজন সমন্বয়কও ছিলেন। তারা জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন নিয়ে একটা শর্ট ফিল্ম তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য আসেন। কিন্তু আলোচনা শুরু না হতেই আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের সহযোগী সাদিক নামে এক কিশোর গ্যাং সদস্য সেখানে গিয়ে হাজির হয়। সাম্প্রতিক সময়ে যে সমন্বয়কের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে, কিশোর ডট গ্যাংয়ের সেই লিডার রিজাউর রহমানও তার সাথে ছিল। তাদের সাথে থাকা অনান্য সমন্বয়কারীরা আব্দুল হান্নান মাসউদ, ওমর ফারুক, তানভীর শরীফের ওপর হামলা করে। সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখে। হামলাকারীদের হাতে ছুরি ছিল। রড ছিল। তারা এসব নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। পুলিশের প্রতি আমাদের অনুরোধ ভিডিও ফুটেজ দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
রাফি-রিজাউরপন্থীদের হামলায় হামলায় তানভীর শরীফ, আরিফ মঈনুদ্দিন, ওমর ফারুক সাগর, নওশাদ, নাসির উদ্দিন, মাহমুদ আলম, শফিকুল ইসলাম, খলিল, ইফতি, রেজোয়ানসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এই হামলায় জড়িত ছিল রিজাউর রহমানের নেতৃত্বাধীন কিশোর গ্যাং ‘ডট গ্যাং’।