বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে ইসকন ও এর বিতর্কিত নেতা চিন্ময় দাসের অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। ব্যাংক হিসাবে ২৪০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে, যার মধ্যে চিন্ময় দাসের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ছিল তিন কোটি ৯২ লাখ টাকা। এই টাকার উৎস কী? তা নিয়ে চলছে আলোচনা, কিন্তু এর ব্যবহার নিয়ে সন্দেহের জায়গা নেই—টাকা উধাও করতে চিন্ময় বাবাজির কোনো তুলনা নেই!
যখন ভক্তরা “হরে কৃষ্ণ, হরে রাম” মন্ত্রে মগ্ন, তখন চিন্ময় দাস হয়তো মনে মনে বলছেন, “হরে টাকা, হরে নাম”! তাঁর লেনদেনের ধারা দেখে বোঝা যায়, ভক্তদের দানকৃত টাকা কীভাবে মন্ত্রের মতো বাষ্পীভূত করা যায়, সেটাই তাঁর আসল সিদ্ধি।
চিন্ময়ের এই অর্থনৈতিক মহাকাব্যের অংশ হিসেবে ১৭ জন সহযোগীর নাম এসেছে। এ যেন ইসকনের নিজস্ব “চোরের দল,” যারা ধর্ম প্রচারের নামে অর্থের কূটচালায় মগ্ন। ব্যাংক লেনদেন স্থগিত হওয়ার পরও তাঁরা বলছেন, “সবই কৃষ্ণের ইচ্ছা।” ভাবা যায়!
চিন্ময় বাবাজি অবশ্য নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে ব্যস্ত। তিনি দাবি করছেন, “আমি সব টাকা গরীবদের জন্য খরচ করেছি।” কিন্তু গরীবেরা বলছে, “ভাই, এই টাকা আমাদের কেন চোখে পড়ে না?”
তদন্তে দেখা গেছে, ব্যাংক হিসাবে জমাকৃত টাকার সিংহভাগ উত্তোলন করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, টাকা গেছে কোথায়? ভক্তরা কি এবার ‘মহা প্রভু’ চিন্ময়ের কাছে ‘মহা হিসাব’ চাইবে? নাকি এই হিসাবও কোনো নতুন মন্ত্রে বিলীন হয়ে যাবে?
এক ব্যাংক কর্মকর্তা মজা করে বলেছেন, “চিন্ময়ের অ্যাকাউন্ট দেখলেই মনে হয়, ইনি আসলে কৃষ্ণ নয়, ক্যাশের পূজারী।” আর ভক্তরা বলছে, “আমাদের বিশ্বাস বিক্রি করে যিনি রাজপ্রাসাদ গড়লেন, তাঁকে কৃষ্ণ ছাড়বেন না।”
যাই হোক, চিন্ময় দাসের এই নাটকীয় লেনদেন নিয়ে এখন গোয়েন্দারা তৎপর। দেখা যাক, কৃষ্ণের বংশীতে এবার নতুন কোনো সুর বাজে কি না।
ছবি কৃতজ্ঞতা: দ্য পাঙ্গাশ