সাত নম্বর ভবনের আটতলা থেকে আগুনে পুড়ে যাওয়া কুকুরের মরদেহ নিয়ে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। মৃত কুকুরটি ফরেনসিক বিভাগে নেওয়া হয়েছে। কুকুরটি ৮ তলায় কিভাবে উঠলো তা চলছে আলোচনা। কুকুরটির শরীরে বিষাক্ত কিছু আছে কিনা তার রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছে ফরেনসিক বিভাগ। কুকুরটি ৮ম তলায় কিভাবে উঠলো তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আমাদের দেশে বিদেশী কুকুরকে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে অভ্যাস গড়ে তোলা হয়। কেউ ঘরে রাখার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে অভ্যাস গড়ে তোলে। আবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলো বিদেশী কুকুরকে শিকারী কুকুর হিসাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলে। কিন্তু আমাদের দেশী প্রজাতির কুকুর যাকে আমরা স্ট্রিট ডগ বলে থাকি, তাদের চলাফেরা একেবারে ভিন্ন। স্ট্রিট ডগ পরিচিত এলাকায় থাকে। যেখানে সে খাবার পায় সেখানেই তার একটি প্রভূ ভক্ত জগত গড়ে তোলে। কোনো ব্যক্তির ওপর সন্দেহ হলেই সে ঘেউ ঘেউ করে। আবার জনশূণ্য স্থানে সে বেশি সময় থাকবে না। সে খাবারের স্থানে চলে আসতে চাইবে।
সচিবালয়ের ভেতরে আমি দুই-তিনবার গিয়েছি। কিন্তু ভবনগুলোতে কখনই কুকুর ঘোরাঘুরি করতে দেখিনি। এ ক্ষেত্রে বাইরের কুকুর এত নিরাপত্তা বেষ্টনী ফাঁকি দিয়ে কখনই সচিবালয়ে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে বা লিফটে করে আটতলায় যাবে না। আর কলাবশিবল গেট খোলা পেয়ে একটি কুকুর কখনই গোপনে সিঁড়ি বইবে না যদি সেখানে খাবারের উত্সা থাকে। অনেক সময় স্মেলিং পাওয়ারের (গন্ধ) কারণে শক্রু পক্ষের সন্ধান পেলে কুকুর কিন্তু ঘেউ ঘেউ করে ওই স্থানে যাবে। এমন যদি হয়, সেক্ষেত্রে তো সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার সদস্যরাই ওই কুকুরকে প্রতিরোধ করবে। আমার কাছেও ওই ভবনের আট তলায় কুকুরের মরদেহ উদ্ধার নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।