সচিবালয়ে আগুন বিরল ঘটনা। এর আগে ছাত্ররা বিনা বাধায় সচিবালয়ে ঢুকে পড়লো, আনসাররা আন্দোলন করে নানা বিশৃঙ্খলা তৈরি করলো, দুই কলেজের মারামারিতে রক্তপাত হলো, তাবলীগের অন্তকোন্দলে লাশ পড়লো— কোনও ঘটনায়-ই সরকার দৃশ্যত আগাম ব্যবস্থা বা সন্তোষজনক পদক্ষেপ নেয়নি। একই ধারাবাহিকতায় সচিবালয়ে আগুন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারের দায় আছে বলে মনে করে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
দলটির শীর্ষ নেতারা আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অগ্নিদগ্ধ ভবন পরিদর্শন করেন। এরপর এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু সাংবাদিকদের সামনে দলীয় প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে এ অভিযোগ করেন।
এ সময় মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। এর আগে বহু ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও জনগণ এর রিপোর্ট সম্পর্কে কিছু জানতে পারেনি। এবার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত আমরা জানতে চাই। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে আগুনের এ ঘটনায় এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে, আমরা শুনেছি যে দুইটি মন্ত্রণালয় অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে বিগত সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির নথিপত্র রক্ষিত ছিল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এবি পার্টির আহ্বায়ক ডা. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আজ আগুনে পুড়েছে সচিবালয়। অথচ দেশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সংস্থা গুলোর কাছে কোনও তথ্য থাকবে না, এটা হতে পারে না। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।