ঢাকাশুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের ক্ষোভ থেকে জাহাজের ৭ জনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় : র‍্যাব

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪ ৩:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তদন্তের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সারবহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে ৭ জন খুনের ঘটনার রহস্যের জট খুললো। অবশেষে জানা গেলো ডাকাত নয়, জাহাজে থাকা আকাশ মণ্ডল ইরফান এই ঘটনার মূলহোতা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

 

কর্নেল মুনীম ফেরদৌসের ভাষ্যমতে, দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের ক্ষোভ থেকে আকাশ মণ্ডল ইরফান জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াসহ সবাইকে হত্যা করে।

খুন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, আমিনুর মুন্সী, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন ও বাবুর্চি রানা কাজী। এ ছাড়া আহত ব্যক্তি হলেন- সুকানি জুয়েল।

র‍্যাব জানায়, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘ ৮ মাস ধরে কোনো প্রকার বেতন ভাতা দিতেন না এমনকি তিনি দুর্ব্যবহারও করতেন। এসবের ক্ষোভ থেকে এমন কাজ করেন ইরফান।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরফানের দেওয়া তথ্য মতে র‍্যাব আরও দাবি করে, জাহাজের বাজার করার জন্য ইরফান পাবনার একটি বাজারে নেমেছিল। সেখান থেকে  ১৮ ডিসেম্বর তিনি ৩ পাতা ঘুমের ওষুধ কেনেন। আর যে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সেটি আগেই জাহাজেই ছিল। কুড়ালটি জাহাজের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল।

র‍্যাব আরও জানায়, মাস্টার গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার সময় অন্যরা দেখে ফেলতে পারে এতে পালাতেও সমস্যা হবে এমন ভয় থেকে ইরফান তাদেরকেও হত্যা করেন।

এর আগে জাহাজে খুন হওয়া সাত জনের লাশ মঙ্গলবার বিকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন জেলা প্রশাসক মহসীন উদ্দিন ও নৌপুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। ওই সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের স্বজনদের ২০ হাজার টাকার চেক ও নৌপুলিশের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।