ঢাকারবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে এবার উপাচার্য ‘বসাতে’ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ ৬:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে সরানোর পর ওই তিন পদ পূরণে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এসব পদ পূরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘ব্যর্থ’ ধরে নিয়ে প্রস্তাবিত তালিকা থেকে নিয়োগের বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে ৭ দিনের সময়ও বেঁধে দিয়েছেন তারা। 

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিইসি ক্যাম্পাসে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন।

এর আগে, ৬ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমাবজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, উপ-উপাচার্য কাজী শামীম সুলতানা এবং কোষাধ্যক্ষ তৌফিক সাঈদ।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্থক্য রয়েছে। ভিসি ছাড়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘ সময় চলতে পারে কারণ সেটা সরাসরি সরকার পরিচালনা করে। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে চলে না। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটা ক্যাম্পাস রয়েছে। সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন ভাতাসহ নানাবিধ খরচের বিষয় রয়েছে যাতে ভিসি এবং ট্রেজারারের স্বাক্ষরের প্রয়োজন। এখন এই বিশ্ববিদ্যালয় যদি বন্ধ হয়ে যায় অবশ্যই এই দায়ভার শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে। যদি আগের ট্রাস্টি বোর্ডের কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয় তবে শিক্ষার্থীরা তা মেনে নিবে না। ৫ আগস্টের পর থেকে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সকল সদস্য পলাতক রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী প্রান্ত বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের একটা প্রতিনিধি টিম ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় গিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও জুলাই স্পিরিট ধারণ করে এমন কাউকে আমাদের ভিসি, প্রো-ভিসি বা ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় ১২ দিনেও এ সংক্রান্ত কোনো আপডেট পাইনি আমরা। যোগাযোগ করেও রিচ করতে পারিনি। যেহেতু উনারা উনাদের প্যানেল থেকে ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার নিয়োগ দিতে পারে নাই; এ কারণে আমরা ধরে নিবো তারা হয় ব্যর্থ না হয় দিতে চাইছে না, নতুবা আরও বিলম্বিত করবে। তাই আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারারের একটা লিস্ট পুনরায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ বা কাল আমাদের প্রতিনিধি দল ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারারের লিস্ট নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়া হবে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে আমাদেরকে এ বিষয়ের একটা অগ্রগতি জানাতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ৬ থেকে ৭ হাজার পরিবার জড়িত। এখানে তাদের বেতন ভাতার একটা বিষয় রয়েছে। আমরা কোনোভাবে আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারী বা শিক্ষকদের পেটে আঘাত করতে পারি না। আমরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবহেলিত।’

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গুম, খুন ও গুপ্তহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানানো হয়।