বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সাম্প্রতিক সময়ে চোরাগোপ্তা হামলা ও নানাবিধ হুমকির শিকার হচ্ছেন। এসব ঘটনার প্রকৃত কারণ ও দোষীদের পরিচয় অজ্ঞাত থাকলেও পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। কখনো দুর্ঘটনা, ছিনতাই, বাকবিতণ্ডা কিংবা ময়লার ভাগের মতো ঘটনাগুলোর আড়ালে মূল চিত্র ঢাকা পড়ে যাচ্ছে।
কয়েকদিন আগে, ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের স্বনামধন্য অনলাইন পোর্টাল সিটিজি পোস্টের মাল্টিমিডিয়া ইনচার্জ এবং স্টুডেন্টস এলায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি (স্যাড)-এর মহানগর কমিটির সদস্য সামীকে আগ্রাবাদ এলাকায় গুপ্ত হামলার শিকার হতে হয়। হামলার প্রকৃতি সন্দেহজনক হলেও এর সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
পরদিন, ১৮ ডিসেম্বর, জামালখান প্রেসক্লাবে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পালন করে স্যাড। সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়। সমাবেশে জ্বালাময়ী বক্তব্য দেন স্যাড চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব রেদোয়ান রক্তিম।
এই সমাবেশের একদিন পর, ১৯ ডিসেম্বর, রেদোয়ান রক্তিমকে একটি অজ্ঞাত এনোনিমাস ম্যাসেজিং অ্যাপ “চিঠিডটমি”-এর মাধ্যমে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়। এ ধরনের হুমকির পর আন্দোলনকারীরা আরও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এই চোরাগোপ্তা হামলা ও হুমকির পেছনে কারা জড়িত তা নিশ্চিত নয়, তবে অনেকেই সন্দেহ করছেন যে এগুলো গণহত্যাকারী পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাজ। স্যাডের পক্ষ থেকে অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লড়াই কোনো হুমকি বা হামলা দিয়ে থামানো যাবে না। তবে, ক্রমাগত হামলা ও হুমকির শিকার হয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষ ও দ্রুত কার্যকরী হস্তক্ষেপ আশা করছেন।