নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের উষা রানী রায় নামে এক নারী অভিযোগ করেছেন, ভারতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা তথ্য প্রচারে বাধ্য করা হয়েছে। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, ভারতীয় গণমাধ্যমের জন্য এই মিথ্যা বিবৃতি দিতে তাকে চার ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।
উষা রানীর অভিযোগ অনুযায়ী, তাকে জোরপূর্বক এমন তথ্য দিতে বাধ্য করা হয়, যা সম্পূর্ণ অসত্য। ভিডিওতে তিনি বলেন, “আমাকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখে ভয় দেখানো হয়েছিল। আমি ভয়ে পড়ে যা বলার বলেছি।”
উষা রানীর স্বামী সুবাস রায় জানান, তার স্ত্রী যে তথ্য দিয়েছেন, তা বাস্তবের সঙ্গে মেলে না। তিনি বলেন, “আমরা এখানে হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলেমিশে বসবাস করি। আমাদের মধ্যে কোনো বৈষম্য নেই।”
নলদী ইউনিয়নটি হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের দৃষ্টান্ত। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এখানে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। তবুও ভারতীয় গণমাধ্যমে উষা রানীর দেওয়া বক্তব্য ঘিরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। উষা রানীর পরিবার জানায়, গত ৭ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য ভারতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।