শ্রমিক নেতা মির্জা আবুল বশরের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর ভেলুয়ার দীঘি পাড়ের কবরস্থানে অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি। জানাজায় তিনি বলেন, “মির্জা আবুল বশর তার ত্যাগ, নিষ্ঠা এবং সংগ্রামী জীবনের জন্য আমাদের পাথেয় হয়ে থাকবেন। তার জীবন আমাদের যুগ যুগ ধরে প্রেরণা জোগাবে।”
জানাজার আগে গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলা শাখার আয়োজনে একটি শ্রদ্ধা নিবেদন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত ছিলেন মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ রাজনীতিবিদ আব্দুল গাফফার, চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমির উদ্দিন, এবং চট্টগ্রাম জেলা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসহাক।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতির প্রতিনিধিসহ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ।
নামাযে জানাজা শেষে হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে মির্জা আবুল বশরকে তার শেষ ঠিকানায় সমাহিত করা হয়। এক সংগ্রামী জীবনের ইতি টেনে তিনি স্মৃতিতে বেঁচে থাকবেন তার কর্মের মাধ্যমে।