ডিজিটাল যুগের “গুজব উৎপাদন কেন্দ্র” থেকে এবার বেরিয়েছে এক অভিনব সৃষ্টি—একজন পাঞ্জাবি আর টুপি পরা ব্যক্তি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে, আর ভারতের জাতীয় পতাকা পায়ের নিচে! ছবিটি দেখেই প্রথমে চোখ ছানাবড়া; দেশপ্রেমের চর্বি পুড়ে ছাই হওয়ার উপক্রম। কিন্তু একটু দম নিয়ে ভাবুন, সত্যি কি এমন কিছু ঘটেছে?
রিউমার স্ক্যানার নামে এক তথ্যযাচাইকারী সংস্থা বলছে, “দয়া করে মাথা ঠান্ডা করুন, ভাই। ছবিটি আসলে এআই দিয়ে তৈরি।” একটুখানি “রিভার্স ইমেজ সার্চ” আর কিছু সাধারণ অনুসন্ধান করেই তারা নিশ্চিত হয়েছে, এ রকম কোনো দৃশ্য বাস্তবে ঘটেনি। তবে এআই প্রযুক্তি এতটাই নিখুঁত যে ছবিটিকে দেখে কল্পনাশক্তি উসকে ওঠে—আর ভাইরাল হওয়ার জন্য এটাই তো যথেষ্ট!
ডিপফেক শনাক্তকরণ প্ল্যাটফর্ম ট্রুমিডিয়া এই ছবির কেমিস্ট্রিতে ম্যানিপুলেশনের সুস্পষ্ট প্রমাণও পেয়েছে। অর্থাৎ, এ কোনো পবিত্র পাঞ্জাবি-টুপি বাহিনীর কর্মকাণ্ড নয়; বরং ডিজিটাল যুগের এক মর্মান্তিক হাস্যরস।
কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ভারতের কিছু গণমাধ্যম আর সামাজিক প্ল্যাটফর্মও এই ছবিকে হাওয়া দিয়ে বাড়ি বানিয়েছে। এ যেন “বাংলাদেশ-ভারত সাইবার কাবাডি ম্যাচের” নতুন কিস্তি। তাতে আসল ঘটনাকে চাপা দিয়ে, মনগড়া গল্পের জয়জয়কার।
সুতরাং, জনসাধারণের প্রতি আমাদের বিনীত আহ্বান: “তথ্য দেখুন, চিনুন, বুঝুন। চোখ যা দেখে তা সবসময় সত্যি নয়। বিশেষ করে যখন পাঞ্জাবি, টুপি আর পতাকা এক ফ্রেমে থাকে!” এ যেন ডিজিটাল যুগের নতুন পাঠ্য: “গুজবের পা নেই, কিন্তু তার এআই আছে!”