ঢাকাবৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
ডিসেম্বর ৩, ২০২৪ ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর, খুলনা ও ফেনীতে বিক্ষোভ হয়েছে।

গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন সাম্প্রতিক দেশকাল প্রতিনিধিরা।

হামলার প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি: বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাবির শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর একটি মিছিল বের করা হয়। এ সময় বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিলে যোগ দেন। পরে মিছিলটি ভিসি চত্বর হয়ে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘গোলামী না আজাদি, আজাদি আজাদি’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘হাইকমিশনে/আগরতলায় হামলা কেন, দিল্লি তুই জবাব দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আমরা কী চাই, আজাদি আজাদি’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি।

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকবে, প্রতিবেশী হিসেবে ভালো সম্পর্ক থাকবে। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের সঙ্গে আমাদের রাজা-প্রজার সম্পর্ক হতে পারে না। ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলার জন্য অবশ্যই ভারতকে ক্ষমা চাইতে হবে।

তারা বলেন, ভারতকে বলতে চাই— এ দেশে আর আওয়ামী লীগের ক্ষমতা নেই। সুতরাং তারা যেন আওয়ামী লীগের আমলের মতো করে এ দেশে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা না করে। দিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, শরীরে এক ফোটা রক্ত থাকা পর্যন্ত আমরা ভারতের আধিপত্য মেনে নেব না। যেভাবে আমরা হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছি সেভাবেই আমরা দিল্লির আগ্রাসনও রুখে দেব।

এ সময় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ভারত বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা করে এক নগ্ন ইতিহাস রচনা করেছে। ভিয়েনা কনভেনশনের বিপরীতে গিয়ে তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। ভারত তাদের আচরণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে তারা বিশ্বসভ্যতা এবং ভদ্রতাকে ধারণ করে না। ভারত সরকারকে তাদের এমন নির্লজ্জ আচরণের জন্য বাংলাদেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

তিনি বলেন, ভারতের ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের সর্বত্র বিদ্যমান। ভারতের তৈরি মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ আমাদেরকে হত্যা করার জন্য ডাকসুতে হামলা করেছে। গণঅভ্যুত্থানের সময় দেখা যায় সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালানো অনেক সামরিক লোক হিন্দিতে কথা বলছে। ভারতের অনুগত হাসিনাকে রক্ষা করতে বিজেপি সরকার তাদেরকে এদেশে পাঠিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যদি না খেয়েও মারা যায়, তবু দেশকে বিক্রি করব না। ভারত বাংলাদেশে নিয়ে খেললে আমরা সেভেন সিস্টার নিয়ে খেলব। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হামলায় সেভেন সিস্টার চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে।

রাবিতে বিক্ষোভ: বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ৯টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জুহা চত্বরে মিলিত হয় শিক্ষার্থীরা। পারে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে তালাইমারি মোড়ে সমাবেশ করেন তারা।

এসময় তারা, ‘ভারতের দাদাগিরি, থুথু মারি থুথু মারি’, ‘ভারতের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’, ‘ভারতীয় তালবাহানা, এই বাংলায় চলবেনা’, ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, দাঙ্গাবাজদের ঠাই নাই’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘আপোষ না সংগ্রাম? সংগ্রাম, সংগ্রাম’, ‘গোলামী না মৃত্যু? মৃত্যু মৃত্যু’, ‘আমার দেশের অপমান, সইবেনা আর জনগণ’, ‘চাটুকারদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ভারতীয় বন্দিশালায়, লাথি মার, ভাংরে তালা’, ‘ভারতীয় আধিপত্য, নিপাত যাক, বিনাশ যাক’, ‘ভারতীয় আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ভারতের একমাত্র বন্ধুত্ব ছিল আওয়ামীলীগের সাথে, একমাত্র বন্ধুত্ব ছিল ওবায়দুল কাদেরের সাথে, একমাত্র বন্ধুত্ব ছিল শেখ হাসিনার সাথে এবং বন্ধু ছিল তার পরিবারের সাথে। বাংলাদেশের সাথে তাদের কোন বন্ধুত্ব ছিল না। আমরা আমাদের বিজয়টাকে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে বিজয় বলে ধরি না। আমরা ভারতের বিপক্ষে বিজয় বলে মনে করি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, মানুষের লাশের উপর দিয়ে ভারতের রাজ কায়েম হতে আমরা দেব না। ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাই কমিশনে অ্যাটাক করা হয়েছে। আমরা কিন্তু এখনো চুপ আছি। বাংলার মানুষ গর্জে উঠলে ভারতের আধিপত্য ছারখার হয়ে যাবে।

এ সময় বক্তারা ভারতের পণ্য বয়কটেরও ডাক দেয়। একদল শিক্ষার্থী ভারতের পণ্য পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানায়।

জাবিতে মশাল মিছিল: হামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সোমবার রাত নাড়ে নয়টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা এলাকা থেকে মশাল মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরসহ কয়েকটি সড়ক ঘুরে আবার বটতলায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সমাবেশ করেন তারা। সেখানে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সমন্বয়ক তৌহিদ সিয়াম, ছাত্রশিবিরের জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহিবুর রহমান, গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আবদুর রশিদ।

ইবিতে বিক্ষোভ: ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

এদিন রাত সাড়ে ৯টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহসমন্বয়ক নাহিদ হাসান ও তানভীর মণ্ডলসহ অন্য সহসমন্বয়করা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, হাজারও ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে চব্বিশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের অন্যতম দাবি ছিল ভারতীয় আগ্রাসন থেকে মুক্তি পাওয়া। বিগত দিনগুলোতে ভারত হাসিনাকে ব্যবহার করে ফায়দা লুটেছে। আমরা আর কোনো রাষ্ট্রের গোলামীর পাত্র হতে চাই না। অস্তিত্বের প্রশ্নে যারা ভারত প্রীতি ছাড়তে পারে না, তাদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। আমরা স্বৈরাচারী হাসিনার পতন ঘটিয়েছি। ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। এই সংগ্রামে সকলকে পাশে চাই।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল: এদিকে রাত নয়টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এসময় তারা, ‘ভারতের দাদাগিরি, থুথু মারি থুথু মারি’, ‘ভারতের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’, ‘ভারতীয় তালবাহানা, এই বাংলায় চলবেনা’, ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, দাঙ্গাবাজদের ঠাই নাই’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘আপোষ না সংগ্রাম? সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল: রংপুরে যৌথভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। রাত আটটার দিকে নগরের প্রেসক্লাব চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবার প্রেসক্লাবে ফিরে আসে।

পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ, সদস্যসচিব রহমত আলী, মুখ্য সংগঠক আলী মিলন, মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার, রংপুর জেলার আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ, সদস্যসচিব আসফাক আহমেদ, মুখপাত্র ইয়াসির আরাফাত, জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক আলমগীর নয়ন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা সহ্য করতে পারে না। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা হয়েছে। ভারতের অধিকাংশ গণমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে অপপ্রচার চালাচ্ছে অভিযোগ করে বক্তারা প্রতিটি সীমান্ত হত্যার বিচার এবং ভারতের সঙ্গে করা দুই দেশের অসম চুক্তিগুলো বাতিলের দাবি জানান।

খুলনায় বিক্ষোভ: খুলনা শহরে রাত সাড়ে নয়টায় নগরের শামসুর রহমান রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিলটি বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশে ট্রাফিক মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

ফেনী বিক্ষোভ: সোমবার রাত সোয়া নয়টার দিকে ফেনী শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল বের হয়ে শহরের দোয়েল চত্বর, প্রেসক্লাব, বড় মসজিদ ও মডেল থানা প্রদক্ষিণ করে খেজুর চত্বর এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনীর সমন্বয়ক ওমর ফারুক, ছাগলনাইয়ার সমন্বয়ক নাঈম ফরায়জী, হেফাজত ইসলামের কর্মী রেদওয়ান উল্যাহ ইউসুফী, ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী রাফিতুল ইসলাম প্রমুখ।

যুব অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ: ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, ‘ভারতবর্ষের হিন্দু মুসলিমের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে ইতিহাস রয়েছে তা পরিকল্পিতভাবে বিনষ্ট করছে মোদি সরকার। সম্প্রতি আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে উগ্রবাদী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে থেকে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা এ দেশের জনগণ রুখে দেবে।’

বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন বলেন, ‘ভারতের মোদি সরকার যদি বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ না করে, ভারতের নিরাপত্তাও হুমকিতে পরবে। কাজেই তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা নিরাপদ থাকতে চায় কি না।’

সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান বলেন, ‘আগরতলা হামলার ঘটনায় যদি ভারতের মোদি সরকার হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় না আনে, তবে ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও করবে যুব অধিকার পরিষদ।’

সমাবেশে উচ্চতর পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুব অধিকার পরিষদের সহসভাপতি রাহুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল মুন, অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক সবুজ সেরনিয়াবাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর হিরন, পেশাজীবী সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হোসেন এবং শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এর আগে সোমবার দুপুরের দিকে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা চালায় হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা।