চট্টগ্রাম নগরের হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ এসএম আইয়ুব হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর কলেজে অবরুদ্ধ করে আরও দুই শিক্ষকের সঙ্গে তাঁকেও পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল।
গতকাল শনিবার সকালে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে এসএম আইয়ুবকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় দুই ঘণ্টা পর দুপুর ২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ওই শিক্ষককে পদত্যাগে বাধ্য করানো হলেও কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেনি। তবে আইয়ুবের স্বজনেরা দাবি করেছেন, তিনি কলেজে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।
হাজেরা তজু ডিগ্রী কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চয়ন দাশ জানান, বহিরাগত কিছু মানুষ এসে সেদিন কলেজে উপাধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেছিল। এরপর থেকে তিনি নিরাপত্তা কথা বিবেচনায় কলেজে আসেননি। কয়েকদিন আগে কলেজে এসে পুনরায় পদত্যাগপত্র দিলেও সেটি গ্রহণ করা হয়নি। তবে তিনি মানসিকভাবে খারাপ সময় কাটাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। এ ধরনের ঘটনা মোটেও কাম্য ছিল না।
এদিকে এই শিক্ষকের মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠেছে। তাঁর স্বজনদের আহাজারির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে।
তাৎক্ষণিকভাবে এসএম আইয়ুবের ছেলে শেফায়েত খান কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁর এক ভাগনে বলেন, ‘কলেজটিতে দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন মামা। তিনি একইসঙ্গে রসায়ন বিভাগের প্রধান ও উপাধ্যক্ষ ছিলেন। যেহেতু কলেজটি সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির পারিবারিক উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত, তাই সাম্প্রতিক পট পরিবর্তনের পর তিনিসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক একটি স্বার্থান্বেসী গোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন। তারাই মামাকে হেনস্তা করেছে। কয়েকমাস পরই তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।’
জানা গেছে, গত ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর কলেজটিতে নানা দাবিতে বিক্ষোভ করে একদল শিক্ষার্থী। এরই জেরে ২৪ সেপ্টেম্বর পদত্যাগপত্র লিখে জোর করে শিক্ষক এসএম আইয়ুবকে স্বাক্ষর করানো হয়।